রিয়াজ মুন্না, চবি

  ০৫ মে, ২০২০

তোমরা ভিক্ষা করে হলেও ভাড়া এনে দাও, চবি শিক্ষার্থীকে বাড়িওয়ালী

‘আমি বাসা ভাড়া দিয়েছি। আমি ভাড়া চাই। তোমরা ভিক্ষা করে হলেও ভাড়া এনে দাও।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১০ শিক্ষার্থীকে বাসা ভাড়া দিতে এমনভাবেই বলছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর এক বাড়ির মালিক।

চট্টগ্রাম শহরের খুলশী থানার আল ফালাহ গলির হাজী নূর আহমেদ সড়কের আলী ভিলার চতুর্থ তলায় আড়াই বছর ধরে ভাড়ায় থাকেন চবির ১০ জন শিক্ষার্থী।

করোনাভাইরাসের কারণে বাড়িতে চলে যাওয়ায় ওই শিক্ষার্থীরা এপ্রিল মাসের বাসা ভাড়া যথাসময়ে দিতে পারেননি। এ কারণেই তাদের উপর চটেছেন ওই বাড়ির মালিক শামসুন্নাহার বেগম। আর করেছেন গালমন্দ আর অশোভন শব্দপ্রয়োগ।

ওই বাসার ভাড়াটিয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান জানান, তারা সকলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পড়েন। প্রতিমাসে ১৯ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হয় তাদের। আমরা সবাই টিউশনি করে নিজেদের খরচ যোগান দিই। আড়াই বছরে কোনও মাসেই ভাড়া বকেয়া ছিল না। এখন করোনার কারণে সবাই যার যার বাড়ি চলে গেছে। টিউশনও নেই। এ জন্য এপ্রিল মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে পারিনি। উনার কাছে সময় চাইতে কথা বলতে চাই। আর উনি অযাচিতভাবে এসব বলে বকাবকি করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়ির মালিক শামছুন্নাহার বেগম বলেন, ‘এটা আমার আর মিজানের বিষয়। সে সাংবাদিককে কেন জানালো? মিজান কি আমাকে সোজা পেয়েছে? মিজান আমাকে হাইকোর্ট দেখাতে চাইলে আমি তাকে নাঙলকোট দেখাবো। তাকে চট্টগ্রাম শহরে আসতে বলিয়েন।’

তাদের কথোপকথনের ভাষা ছিল নিম্নরুপ- মিজানুর রহমানঃ আন্টি, আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন? আমরা যারা মেসে থাকি সবাই নিন্ম মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। টিউশন করে চলি। এখন পরিস্থিতির কারনে টিউশনও নাই। ফ্যামিলিতে সবার ভাল আয়ের কোন ব্যবস্থাও নাই। এখন আপনি যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত ভাড়ার বিষয়টি বিবেচনা করতেন তাহলে আমরা উপকৃত হতাম।

শানসুুন্নাহার বেগমঃ ওয়াআলাইকুম সালাম। ভাল আছি। আমি এসব শুনতে চাই না। আমি বাসা ভাড়া দিয়েছি। আমি ভাড়া চাই। তোমরা ভিক্ষা করে হলেও ভাড়া এনে দাও। আমার ভাড়ার টাকা না দিলে আমি কোনও জিনিসপত্র বাসা থেকে নামাতে দিব না।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চবি,ভাড়া,ভিক্ষা,করোনাভাইরাস,বাড়িওয়ালী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close