প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

জঙ্গিবাদ দমন

শেখ হাসিনার নীতির সুফল পাচ্ছে দেশ

ছবি : সংগৃহীত

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির সুফল পেয়েছে বাংলাদেশ। সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোল মডেল। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে থেকে দেশে জঙ্গিরা সশস্ত্র হামলা চালানো শুরু করে। বিএনপি-জামায়াত সরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতাও করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার পর শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এদেশে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের শুরু ৯০-এর দশকে। তখন বিএনপি সরকার তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তারা বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। ২০০১ সালে আবারও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিরা দেশের মুক্তমনা, অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ও সংগঠনের ওপর হামলা শুরু করে। সরকার জঙ্গিবাদের অস্তিত্বই অস্বীকার করে।

জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের সময় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। জঙ্গিরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চেষ্টা করে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জঙ্গিগোষ্ঠী দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায়। এ ছাড়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়াসহ হত্যা করে অনেক মানুষকে। কিন্তু বিএনপি সরকার বরাবরের মতোই এদেশে জঙ্গিদের উপস্থিতি অস্বীকার করে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যেকোনো বড় রকমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যখন হয় তখন হয় রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা থাকে নয়তো কোনো গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা থাকে। যেটা ছাড়া বড় রকমের কোনো কর্মকাণ্ড হয় না। যেটা আমরা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ক্ষেত্রে দেখি।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গি দমনে নানা পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নেয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইন পাস করে। সংশ্লিষ্ট আইনগুলোতে আনা হয় সংস্কার-সংশোধনী। ২০১৬ সালের হলি আর্টিসান হামলার পর সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর কার্যক্রম গ্রহণ করে সরকার। সব ধরনের উগ্রবাদ নির্মূলে বাহিনীগুলো করা হয় শক্তিশালী। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম-সিটিটিসি এবং পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও র‌্যাবের অভিযানে সন্ত্রাসবাদীরা আর মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতেই পারে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অনলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা রোধে সতর্কও রয়েছে বাহিনীগুলো।

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমি মনে করি বর্তমান সরকার কাউন্টার টেররিজমের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রাখতে পেরেছে। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। আর এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে। খবর : ডিবিসি নিউজ।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জঙ্গিবাদ দমন,শেখ হাসিনা,জিরো টলারেন্স নীতি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close