reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

গ্যাস লিকেজ : রাজধানীজুড়েই যেন মৃত্যুফাঁদ!

একের পর এক ঘটেই চলেছে গ্যাস লিকেজে অগ্নি দুর্ঘটনা। এতে দগ্ধ হয়ে লম্বা হচ্ছে আহত ও নিহত মানুষের সারি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীতে মোট অগ্নিদুর্ঘটনার প্রায় ত্রিশ ভাগই ঘটে বিভিন্ন গ্যাসের আগুন থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলা, পুরনো লাইন মেরামতে গড়িমসি আর জবাবদিহিতার অভাবেই এমন প্রাণঘাতী ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।

ধানমণ্ডি ২৭ এর রাস্তা। মূল সড়কের নিচের রাস্তায় ফেটে যায় গ্যাস লাইন। উপরের চলন্ত বাসে ধরে আগুন। মুহূর্তেই দগ্ধ হন অনেকে। সেই দৃশ্যে অনেকেরই মনে থাকার কথা।

১৯৯৭ সালে বন্যার সময় পুরান ঢাকার একটি বাসায় বন্যার পানি নেমে যাবার পর বাসিন্দারা ফিরে এসে চুলা জ্বালাতেই ঘটে বিস্ফোরণ। দগ্ধ হয়ে মারা যান ১০ জন। সে সময় তিতাস ও ডিটিসিএলএর সমন্বয়ে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। কমিটির অন্যতম সুপারিশ ছিলো নিয়মিত লিকেজ সার্ভে করতে হবে। সে সময় রিপোর্ট জমাও দেওয়া হয় মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু বাস্তবায়ন যে আলোর মুখ দেখেনি তা নারায়ণগঞ্জ বিস্ফোরণেই স্পষ্ট।

সেই কমিটির একজন সদস্য ছিলেন ডিটিসিএল'র সাবেক ডিজিএম। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত আন্তর্জাতিক এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, লাইনগুলো মেরামত করা না হলে সামনে ঘটতে পারে আরো ভয়াবহ দুর্যোগ।

ডিটিসিএল'র সাবেক ডিজিএম, আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশ্লেষক পরামর্শক খন্দকার সালেক বলেন, সেই বৈঠকে সুস্পষ্টভাবে বলেছিলাম কি কি কারণে এটা হতে পারে। নিয়মিতভাবে লিকেজ সার্ভে করা ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে ৭০ আর ৮০ দশকে যে লাইনগুলো হয়েছে সেগুলো ডিপ্রেসরাইজ করে রিপ্লেস করা দরকার।'

পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর সারা দেশে প্রায় এক হাজারটি অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী গ্যাস। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ২৫ জন, দগ্ধ শতাধিক।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নাবেক সাবেক পরিচালক বি. জে (অব) আলী আহমেদ খান বলেন, 'অন্যান্য আগুনে মানুষ পালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু গ্যাসের আগুনের যে ভয়াবহতা সেখান থেকে মানুষ পালাতে পারে না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, যদি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয় তবে গ্যাস চেম্বার হয়ে থাকা এই রাজধানীর কি হবে তা আসলে কেউই জানেন না।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গ্যাস লিকেজ,রাজধানী,মৃত্যুফাঁদ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close