ভ্যানে লাশের স্তূপ: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে ২ অভিযোগ
কোটা আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর ৬ জনের লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম আল ফেসানী পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ‘খ’ ধারানুসারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনতাজউদ্দিন মন্ডল, কাশিমপুর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শরীফ ব্যাপারী ও কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমদ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এক থেকে সাত নম্বর আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে নির্বিচারে গুলি করে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়। লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করা চেষ্টা চালানো হয়।
এদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৪টি গণহত্যার অভিযোগ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার পর ৬ জনের লাশ একটি ভ্যানে স্তূপ করে রাখা হয়। এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে দেখা যায়, অনেকগুলো মরদেহ স্তূপ করে রাখা হয়েছে একটি ভ্যানে। পাশাপাশি আরেকটি মরদেহ ভ্যানে তুলে দিচ্ছে পুলিশ। পরে একটি পোস্টার দিয়ে লাশগুলো ঢেকে ফেলা হয়। পরে ওই মরদেহগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।