reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে টাকা ছিনতাই, ‘শাহীন পুলিশ’সহ গ্রেপ্তার ৫

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

গোলাম মোস্তফা শাহীন ওরফে ‘শাহীন পুলিশ’ (৫০)। পুলিশের সাবেক কনস্টেবল ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে বিভিন্ন অপকর্মের কারণে চাকরিচ্যুত হন। ডাকাতি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনসহ তার বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে। একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগও করেছেন তিনি।

সবশেষ ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় গাড়িতে তুলে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন শাহীন ও তার চক্রের সদস্যরা। এর ১৮ দিন পর ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল হোতাসহ পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা, কলাবাগান ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের মধ্যে শাহীন অন্যতম। বাকিরা হলেন- মো. শাহাদৎ হোসেন (২৬), সাইদ মনির আল মাহমুদ (৩৬), মো. রুবেল ইসলাম (৩০) ও মো. জাকির হোসেন (৩৫)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই-ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাডো গাড়ি, ছিনতাই করা নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা, একটি ওয়াকিটকি, এক জোড়া হ্যান্ডকাপ, দুটি কালো কটি, একটি স্টিলের লাঠি, হাতুড়ি, প্লাস, স্পার্কার (পিস্তল সাদৃশ্য বস্তু) জব্দ করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ডাকাতির কাজে যে গাড়িটি ব্যবহার হতো সেটি একজন নামকরা ইঞ্জিনিয়ারের। কিন্তু গাড়িটি তিনি তার চালকের কাছে কেন দিয়ে রেখেছিলেন এর তদন্ত করছে পুলিশ। ওই ইঞ্জিনিয়ারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ চক্রের মূলহোতা গোলাম মোস্তফা শাহীন ওরফে শাহীন পুলিশ। তিনি পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ২০০৮ সালে অনৈতিক কাজে চাকরি হারিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতিতে লিপ্ত হন। তার নেতৃত্বে রাজধানীতে সংগঠিত হয় ডাকাতি।

অনেক সময় ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা ছিনিয়ে নিতেন শাহীনের লোকেরা। কেউ যদি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হতেন, তখন শাহীনের লোকেরা মোটরসাইকেলে করে তাকে ফলো করতেন। এরপর নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে সর্বস্ব লুটে নিতেন তারা।

তিনি আরও বলেন, চক্রটি ডাকাতিতে একটি প্রাডো গাড়ি ব্যবহার করতো। গাড়িটিতে একেক সময় একেক নম্বরপ্লেট ব্যবহার হতো। আবার কখনো কখনো একই গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের রঙ করিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে চলতো ছিনতাই-ডাকাতি।

এই চক্রে আর কোনো পুলিশ জড়িত কি না জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, এখনও কোনো পুলিশের নাম পাওয়া যায়নি। শাহীন চাকরিচ্যুত হওয়ার পর চুরি-ছিনতাইকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। এর আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২০টি। এছাড়া গ্রেপ্তার অন্যান্য ডাকাতদের বিরুদ্ধে দুই থেকে তিনটি করে মামলা রয়েছে।

এসময় ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ পরামর্শ দিয়ে জানান, ঢাকা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে কেউ যদি জোর করে গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে চিৎকার করে আশপাশের মানুষকে জড়ো করতে হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ব্যবসায়ী,টাকা ছিনতাই,শাহীন পুলিশ গ্রেপ্তার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close