নৈশকোচে ডাকাতি-ধর্ষণ তাদের পেশা!
কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে দূরপাল্লার নৈশকোচে যাত্রীবেশে উঠতেন। এরপর সুযোগ বুঝেই বাসে ডাকাতি ও তরুণী যাত্রীদের ধর্ষণ করাই ছিল তাদের নেশা ও পেশা। এভাবে মহাসড়কে অন্তত ১৫টি দূরপাল্লার বাসে ডাকাতি ও যাত্রীদের ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ১০ ডাকাত।
রবিবার (১২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, সম্প্রতি ঢাকার আশুলিয়ায় হানিফ পরিবহন ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্টার লাইন পরিবহনের বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই দুটিসহ বিভিন্ন সময়ে দূরপাল্লার বাসে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারের সময় তারা ডাকাতি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাদের কাছ থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
শনিবার (১১ জুন) রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৮ এর একটি অভিযানিক দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ডাকাত দলের সর্দার হিরা শেখ ওরফে কালাম শেখ ওরফে সোলেমান শেখ (৪০), হাসান মোল্লা ওরফে ইশারত মোল্লা (৩৯), আরিফ প্রামাণিক ওরফে আরিফ হোসেন (৩৩), নুর ইসলাম (৫৩), রাজু শেখ ওরফে রাজ্জাক (৫৪), রেজাউল সরকার (৪৯), মো. রতন (৩৬), শরিফুল ইসলাম (৩৯), মো. হানিফ (৪২) ও নজরুল ইসলাম (৩৫)।
র্যাব বলছে, এই ডাকাত চক্রটি গত দেড় বছরে যাত্রীবেশে মহাসড়কে ১৫টির বেশি ডাকাতি করেছে। চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কারাগারে গিয়ে তারা জামিন নিয়ে এসে আবারও ডাকাতির কাজে লিপ্ত হন। এছাড়া ঢাকা-দিনাজপুরগামী একটি বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটান তারা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, আটটি দেশি অস্ত্র, শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের চারটি টিকিট ও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা ঢাকা-রাজশাহীগামী একটি বাসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিলেন।