reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৮ এপ্রিল, ২০২২

ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ

হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঢাকা কলেজের ৫ ছাত্র গ্রেপ্তার

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সবাই ঢাকা কলেজের ছাত্র।

রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ১৯ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত নাহিদ মিয়া পরে হাসপাতালে মারা যান। এলিফ্যান্ট রোডের একটি কম্পিউটার বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান ছিলেন নাহিদ।

নাহিদকে হেলমেটধারী তরুণেরা আঘাত করছেন, এমন ছবি ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই যুবক কারা, সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

নাহিদকে ছোরা দিয়ে আঘাত করা তরুণের পরিচয় হিসেবে জাকিরসহ কয়েকটি নাম প্রকাশ করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, কালো হেলমেট ও ধূসর টি-শার্ট পরা ওই তরুণের নাম ইমন বাসার।

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে অংশ নেন নাহিদ মিয়া।

এর আগে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিপরীত দিকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা একদল হেলমেটধারী তরুণ নাহিদকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করেন।

ঢাকা কলেজের ফটকের বিপরীত পাশের নূরজাহান মার্কেটের সামনে আহত হন নাহিদ। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। সেদিন রাত সোয়া ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নাহিদের মাথায় চারটি আঘাতের চিহ্নের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেহের বিভিন্ন অংশে জখমের উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।

নাহিদের পরিবার নিউ মার্কেট থানায় হত্যা মামলা করার পর এর তদন্ত করছে ডিবির রমনা বিভাগ। সিসিটিভি ফুটেজসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ও ছবি যাচাই করে নাহিদের হত্যাকারীদের খোঁজার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নিউ মার্কেট,ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ,নাহিদ হত্যা,ইমন,গ্রেপ্তার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close