ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ১৫ মার্চ, ২০২২

শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা

ইয়াবা এনে দিতে অস্বীকার করায় উলঙ্গ করে মারধর

মামলা তুলে নিতে আটো রিকশাচালককে মৃত্যুর হুমকি

রাজধানীর ডেমরায় পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা তুলে নিতে মো. আমিনুল ইসলাম পলাশ(৪০) নামে মামলার বাদীকে আসামিরা মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মামলায় সোমবার ৩ দিনের রিমান্ড শেষে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হলে আদালতেই অন্য আসামিরা পলাশকে এ হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী।

অটোরিকশাচালক পলাশ জানায়, ডেমরার পশ্চিম সানারপাড় “মিম ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ওয়ার্কশপ” নামে গ্যারেজ থেকে আমি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে চালাই। গত ৬ মার্চ সকালে অটোরিকশা আনতে গেলে ওই গ্যারেজের মালিক মো. মনির হোসেন(৪৫) আমাকে বলে যে তোকে এক জায়গায় পাঠাবো ইয়াবার একটি প্যাকেট আনার জন্য যা গোপন রাখতে হবে। এতে তোর একদিনের ভাড়া দিতে হবেনা অটোরিকশার। এ ঘটনায় আমি রাজি না হওয়ায় মনির হোসেন আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বলে যে তোকে আমি দেখে নিব। ওই ধারাবাহিকতায় ৭ মার্চ রাতে আমি অটোরিকশা গ্যারেজে জমা দিতে গেলে মনির হোসেন ও তার সহযোগীরা আমাকে উলঙ্গ করে বেধড়ক মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দেয়। এ সময় আমি নিজেকে বাঁচাতে উলঙ্গ অবস্থায় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও তারা আমাকে রাস্তায় আবারও মারধর করে। এ সময় খবর পেয়ে আমার বন্ধু সৌরভ মীর আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

পলাশ আরও জানায়, আমাকে উলঙ্গ করে মারধরের ভিডিও তৈরি করে ফেইসবুকে ছেড়ে দেয় মনির হোসেন। এ ঘটনায় গত ১১ মার্চ রাতে আমি ডেমরা থানায় জড়িত ৫ জনসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করি। আসামিরা হলেন- ডেমরার সানারপাড় এলাকার হাজিল উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. মনির উদ্দিন (৪৫), তার সহযোগী ওই গ্যারেজের আবু হানিফ ওরফে টিটু (৩৬), মো. রাসেল (২৬),আবুল কাশেম (৪৫), বেলাল (৪০)। এদের মধ্যে ১২ মার্চ গ্যারেজ মালিক মনির ও সহযোগী টিটুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন,অভিযোগের ভিত্তিতে হুমকির বিষয়ে বাদীর নিরাপত্তার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অস্বীকার,উলঙ্গ,মারধর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close