আমিনুল ইসলাম রানা, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
নামে আবাসিক বোর্ডিং, চলে অনৈতিক কাজ
দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাজার এলাকায় নামে-বেনামে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অবৈধ আবাসিক বোর্ডিং। সেখানে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে রমরমা যৌন ব্যবসা।
জানা গেছে, দৌলতদিয়া বাজার এলাকায় যে সকল আবাসিক বোর্ডিং গড়ে উঠেছে সেসব বোর্ডিংয়ে রাতের অন্ধকারে চলে রমরমা যৌন ব্যবসা। কিছু স্থানীয় দালাল টাইপের লোক দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে এসব বোর্ডিং। প্রতিটি বোর্ডিংয়ে দুই থেকে তিনজন করে নারী থাকেন। যাদের কাজ দেহ ব্যবসা আর লোক পটানো। পতিতালয়ের মতো কিছু কিছু নারী ছোট ছোট মেয়েদের দিয়ে যৌন ব্যবসা করাচ্ছেন। কারণ অধিকাংশ কাস্টমারের পছন্দ ছোট ছোট মেয়ে। তাতে ভালো টাকা পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, যে নারীর বয়স একটু বেশি প্রতি রাতে তাদের আয় ২ থেকে ৪ হাজার টাকা, আর অল্পবয়সী মেয়েদের প্রতি রাতে আয় ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। মেয়েরা যৌন ব্যবসা করে যে টাকা উপার্জন করে তার অর্ধেক টাকা আবাসিক বোর্ডিং মালিকেরা নিয়ে নেয়।
আবার রাতে বোর্ডিং মালিকেরা ফোন মাধ্যমে কন্ট্রাক্ট করে বিভিন্ন এলাকা থেকে অল্প বয়সের মেয়েদের নিয়ে আসে। তারা সারা রাত বোর্ডিং থেকে ভোর বেলা বেরিয়ে যায়। বাজারমুখী অবৈধ আবাসিক বোর্ডিংগুলোতে রমরমা যৌন ব্যবসা করায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। এ সংকট থেকে উত্তরণে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ চান ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবাসিক বোর্ডিং যৌন ব্যবসায়ী জানান, আগে আমরা সন্ধ্যার পর থেকে লোকজন বসাতাম, এখন আবার নতুন আইন হয়েছে। এখন রাত ৯ টার পর থেকে সারা রাত লোকজন জোগাড় করে যত টাকা ইনকাম করবো তার অর্ধেক বোর্ডিং মালিককে দিয়ে বাদবাকি টাকা নিয়ে সকালে চলে আসি।
দৌলতদিয়া বোর্ডিং সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম ফকির বলেন, বাজারের পাশে হাতেগোনা কয়েকটি বোর্ডিং এসব অবৈধ কার্যকালাপে লিপ্ত। এর আগে আমি অনেক বার বোর্ডিং মালিকদের নিষেধ করেছি। কিন্তু তাতে কোনো কর্ণপাত না করে যৌন ব্যবসা করেই যাচ্ছেন। এখন তাদের সমিতি বাদ দিয়ে দেব।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর বলেন, পতিতালয় কাছে থাকতে ঐখানে আবার যৌন ব্যবসা চলবে কেন। আমি বিষয়টি দেখবো।