ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ভূমি দখলে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ জামাতাকে দিয়ে মামলা, হয়রানি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘরে ভূমি জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে ফারুক মিয়া নামের এক প্রবাস ফেরত ব্যক্তিকে মামলা দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তার চাচা ও চাচাত ভাইদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ভূমি দখলে নিতে মরিয়া চাচা নান্নু মিয়া মাস্টার তার পুলিশ জামাতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগী ফারুক মিয়া। তিনি ভাদুঘর এলাকার মৃত উলফত আলীর ছেলে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফারুক মিয়ার বাবা উলফত আলী মারা যাওয়ার পর তার চাচা নান্নু মিয়া মাস্টার, মজনু মিয়া ও চাচাত ভাই সেলিম মিয়া উলফত মিয়ার মালিকানাধীন ভাদুঘর মৌজার সে. মে. ৩৭১ দাগের ৫৪ শতক নাল ভূমি জোরপূর্বক দখল করে আত্মসাতের চেষ্টা করে। এ সময় ফারুক মিয়া তাদের বাধা প্রদান করেন। এতে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই সুযোগ নিয়ে চাচা নান্নু মিয়া তার মেয়ের জামাতা পুলিশের এসআই মো. আক্তারুজ্জামানের সহযোগিতায় মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে বাদী করে আদালতে দুটি মামলা করেন। পরে শুনানিতে দুটি মামলাই খারিজ হয়। পরবর্তীতে অপর জামাতা মোস্তাফিজুর রহমান রানা বাদী হয়ে আদালতে আরো ২টি মামলা করলে সেই দুটি মামলাও উভয় পক্ষের শুনানি শেষে খারিজ হয়। তারপরও খান্ত হননি তারা।

ফারুক মিয়াকে হয়রানি করতে এসআই আক্তারুজ্জামন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান করেন। তবে কোনো ঘটনা উল্লেখ করতে না পারায় জিডি মামলা থেকে খালাস পায়। এরপরও জামাতা আক্তারুজ্জামান কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ থাকাকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে কাটিয়াদি থানায় আসামিভুক্ত ও গ্রেপ্তার করে। এরপর দীর্ঘদিন তিনি জেল হাজতে থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। বর্তমানে তিনি প্রতি ধার্য তারিখে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছেন।

এদিকে নান্নু মিয়ার বিরুদ্ধে ফারুক মিয়ার করা দেওয়ানি মামলা তুলে নিতে নান্নু মিয়া, মজনু মিয়া, সেলিম মিয়া, জামাতা এসআই আক্তারুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান রানা, সোনিয়া আক্তার ফারুক মিয়াকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছেন। মামলা তুলে না নিলে হেফাজতের মামলাসহ সন্ত্রাসী হিসেবে জেলে পাঠাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফারুক মিয়া জানান, এসআই আক্তারুজ্জামান পুলিশ হওয়ায় বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন। বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমাকে নানাভাবে নাজেহাল করে আসছেন। বয়সের ভারে এত হয়রানি আর সহ্য করতে পারছি না। শুধু জেলা নয়, কিশোরগঞ্জ জেলাতেও আমার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি এই হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। এবং তাদের সুষ্ঠু বিচার চাই।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভূমি দখল,মামলা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,হয়রানি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close