reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ মে, ২০২১

কৌশলে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে মুন্না, বন্ধুরা করে ভিডিও

প্রতীকী ছবি

নির্জন স্থানে নিয়ে প্রেমিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রেমিক। আর এ ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে প্রেমিকের বন্ধুরা। মেয়েটির বিয়ের পর এ ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। এ ঘটনায় ধর্ষকসহ তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নীলফামারীর সৈয়দপুরের ওই প্রেমিকের নাম মুন্না (২৫)।

রোববার মুন্নাসহ তিন বন্ধুকে পৃথক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার আব্দুল মালেকের পুত্র মুন্না (২৫), একই গ্রামের পাঠানপাড়ার শওকত আলীর পুত্র আলাল (২৫) ও আমজাদের মোড়ের শহিদুল ইসলামের পুত্র তৌফিক ইসলাম তুহিন (২০)। এরা তিনজনই পরস্পরের বন্ধু।

আরও পড়ুন : ৯ বছরের মীমের কাঁধে বাবা-মা ও দুই বোনের লাশ

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুরের বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে ২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুন্নার। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পাঠানপাড়ার আলালের বাড়িতে প্রেমিকাকে ডেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে প্রেমিক মুন্না। এ সময় প্রেমিক কৌশলে ওই ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে।

২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি একই গ্রামের আশিকুর রহমানের সঙ্গে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। তাদের সুখের সংসার ভালোই চলছিল। এ অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল রাতে মুন্নার বন্ধু তুহিন ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে জানায় মুন্নার সঙ্গে তার ধর্ষণের একটি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে।

এ কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ১৪ এপ্রিল ওই ছাত্রী শহরের প্লাজা মার্কেটে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে তুহিনের সঙ্গে দেখা করে। তুহিন একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপটি দেখায় ওই ছাত্রীকে। এ সময় সেটি ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করলে তুহিন ২ লাখ টাকা অথবা দৈহিক মেলামেশা করার প্রস্তাব দেয় তাকে। এতে অসম্মতি জানিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যায় ওই ছাত্রী।

আরও পড়ুন : ভোটে জিতেছেন রাজমিস্ত্রির বউ

শনিবার আবারও তুহিন মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীকে টাকা অথবা দৈহিক মেলামেশার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেট ও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনার পর বিকালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সাবেক প্রেমিকসহ তিন বন্ধুকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে তৌফিক ইসলাম তুহিন, আমজাদের মোড় থেকে আলাল এবং নিজ বাড়ি থেকে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান জানান, ভিকটিমকে রোববার শারীরিক পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ পর্নোগ্রাফি আইনে রুজু হয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নীলফামারী,প্রেমিকা,ধর্ষণ,ভিডিও
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close