reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ জানুয়ারি, ২০২১

ধর্ষকদের হাতে মিতুই তুলে দিয়েছিলেন বোনকে

ফাইল ছবি

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া টাউয়ার বাজারে তরুণীকে রাতভর দলবেঁধে নির্যাতনের দায় স্বীকার করেছেন আব্দুল হামিদ নামে এক যুবক। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

আব্দুল হামিদ রাজিউড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত হামিদসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার আরো কয়েকজন আসামি এখনো পলাতক। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ

স্বীকারোক্তিতে বেড়িয়ে এসেছে চুনারুঘাটের নির্যাতনের শিকার তরুণীকে টাকার বিনিময়ে যুবকদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন শেফা আক্তার মিতু। যুবকরা মিলে নির্যাতনের পর টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে ঝগড়া হলে স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পারেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন : প্রতিদিনের সংবাদে লোক নিয়োগ

জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, মিমু ওই নারীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে ২০১৯ সনের ২৭ অক্টোবর তিন হাজার টাকার বিনিময়ে রাজিউড়া গ্রামের বাসিন্দা তাহির মিয়ার ছেলে পলাশের হাতে তুলে দেন। পলাশ তাকে চুনারুঘাট থেকে রাজিউড়া টাওয়ার বাজারে এনে টাওয়ারের নিচে রেখে নির্যাতন করেন। এরপর তিনি আরো ৮/৯ জনকে নির্যাতনের সুযোগ করে দেন। যুবকদের নির্যাতনে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন সকালে কে কত টাকা দিবেন এনিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। ঝগড়া হলে স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পারেন। পরে স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুন : সাহস থাকলে আমাদের ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে দেখাক

পুলিশ আরো জানায়, ঘটনার পরদিন মিতু নিজেই তরুণীকে বোন পরিচয় দিয়ে কয়েকজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তে জানতে পারে মিতুই তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে টাকার বিনিময়ে যুবকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সনের ৮ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে মিতুসহ ৮/৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হক জানান, মামলার পর এ পর্যন্ত পুলিশ আব্দুল হামিদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মূল আসামি মিতু এবং পলাশ পলাতক। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

তিনি বলেন, আব্দুল হামিদকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর সোমবার তিনি বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। রাতেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ধর্ষণ,হবিগঞ্জ,মিতু
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close