ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত, আটক মাদ্রাসাশিক্ষক
শিক্ষাঙ্গনে যৌন হয়রানির মাত্রা বাড়ছে তো কমছে না। প্রতিনিয়ত শিক্ষক দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এবার কওমি মাদরাসার দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এক মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে। দিনাজপুরের হিলিতে এনামুল (২৬) নামের ওই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে হাকিমপুর উপজেলার ছাতনী চার মাথা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক এনামুল বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আব্দুল আজিজের ছেলে।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন : সঙ্গীর জন্য কাঁদছে চিড়িয়াখানার কাঞ্চি
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এক মাস আগে নাতনি ও মেয়েকে ছাতনী মারকাযুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসায় ভর্তি করান মমিনুল ইসলাম। ১৪ জানুয়ারি মাদরাসা ছুটি শেষে তার মেয়ে ও নাতনিকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন শিক্ষক এনামুল। ১৫ জানুয়ারি মেয়ের মা বিষয়টি জানতে পেরে মাদরাসার শিক্ষকদের অবহিত করেন। পরে সুবিচার না পেয়ে শনিবার হাকিমপুর থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন মেয়ের বাবা।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ওই ছাত্রীর বাবা মাদ্রাসাশিক্ষক এনামুলের বিরুদ্ধে শনিবার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশের একটি টিম ছাতনী চার মাথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরপূর্বক আদালতে পাঠানো হবে।