নিজস্ব প্রতিবেদক
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের পুনর্মিলনীতে প্রাণের ছোঁয়া

‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায় ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়...’। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দিনভর সেই পুরনো দিনেরই স্মৃতিচারণ করলেন গানে গানে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস স্কুল ও কলেজ) এসএসসি-১৯৯৯ ও এইচএসসি-২০০১ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
“শতাব্দীর ক্যানভাসে খুঁজি প্রিয় বন্ধুর মুখ” স্লোগানে বর্ণিল আয়োজনে উদাপন করা হয় পুনর্মিলনী এই অনুষ্ঠান। ২১ বছর পর প্রিয় ক্যাম্পাসে এসে পুরোনো সেই বন্ধুকে কাছে পেয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই।
বিজিবি সদর দপ্তরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের পুনর্মিলনীতে পুরো ক্যাম্পাস সেজেছিলো লাল-নীল বর্ণিল সাজে। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা একত্রিত হয়ে হারিয়ে যায় সেই পুরনো দিনে। নানান বয়সের প্রাক্তনদের আবেগ যেন একটু বেশিই ছিল। খুনসুটিতেও কেউ কাউকে ছেড়ে দেননি। তাদের আবেগ-স্মৃতিচারণ-আড্ডা ছুঁয়ে যায় স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণ। আর গানের সেই কলির মতোই ‘প্রাণ জুড়াবে তাই’ এর মতোই দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধু, সতীর্থ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পেয়ে প্রাণ জুড়িয়েই শেষ হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।
শুক্রবার সকাল ৯টায় পাবলিক কলেজ প্রাঙ্গনের মুক্তমঞ্চে পিঠা উৎসব দিয়ে প্রোগ্রাম শুরু হয়। সারাদিন অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল আনন্দ র্যালি, কেককাটা, আলোচনা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক উৎসব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান, বিজিবিএম, অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফেজ মো. জোনায়েদ আহমেদ, এইসি, উপাধ্যক্ষ মো. গোলাম সারুয়ার হোসেনসহ স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীগণ।
অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মইনুল ইসলাম খান, আদনান আহমেদ, মেহেদী হাসান, খান আহরার নাবিল ও তানভীর হাসান জোহা, এবং বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে এলামনাইগন তাঁদের স্মৃতিচারণ করেন।