মাহবুবা ফারুক
২৮ মার্চ, ২০২৩
আঞ্চলিক ভাষার কবিতা ‘কন্যা বিদায়’

নেত্রকোনার ডিঙ্গাপোতা হাওর। ইনসেটে মাহবুবা ফারুক। ছবি : সংগৃহীত
এক.
জামাই আইছে পক্ষি লইয়া
যাও পক্ষীর পিডো বইয়া।
উড়াল দিয়া কইন্যা দিল সাত সমুদ্দুর পাড়ি
খুইজ্জা লইও বাইন্ধা লইয়ো কইন্যা নিজের বাড়ি।
দুই.
ও পক্ষী কই যাও পিডো কারে লইয়া?
পিডো আমার চান তারা আছে দেহ বইয়া।
যাই আমি দূর দেশে সাগর পাড়ি দিয়া,
গর বানবাম তারার লাইগা সূর্যফুল আনিয়া।
ঝি পুত যেন হয় সেই ঘরের বাত্তি,
বাপ মা থাউক শত বছর বটগাছের ছাত্তি।
যাও পাখি যাও তুমি ধীরে সাবদানে,
চান তারা ফুইট্টা থাউক জীবনের আসমানে।
লেখক পরিচিতি : মাহবুবা ফারুকের জন্ম নেত্রকোনার বারহাট্টায়। লেখাপড়া বারহাট্টা, ময়মনসিংহ ও ঢাকায়। বাবা-মার বড় সন্তান। পেশায় শিক্ষক। লেখেন ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার সময় থেকে। ভালোবাসেন প্রকৃতি এবং শিশুদের সঙ্গে মিশতে। ছড়া, কবিতা এবং গল্পের বই ১৩টি। রেডিও এবং টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকবি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তার লেখা নাটক প্রচারিত হয়েছে।
পিডিএস/মীর
প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন