রাশেদ আহমেদ
মননশীল বিকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কিন্ডারবুকসের আত্মপ্রকাশ

শিশু-কিশোরদের জন্য নানা রকমের রঙিন বই নিয়ে অমর একুশে বইমেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে নতুনধারার প্রকাশনা ‘কিন্ডারবুকস’। প্রতিষ্ঠার ৬ মাসের মধ্যে প্রকাশনা সংস্থাটি মজার মজার ছড়া, গল্প, লোককাহিনি আর কিশোর উপন্যাসসহ শিশুদের জন্য অর্ধশতাধিক বই বাজারে নিয়ে আসছে।
‘কিন্ডারবুকস’ থেকে এবারের বইমেলায় প্রকাশ পাচ্ছে প্রখ্যাত ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের ছড়ার নতুন বই ‘ফেল্টুস, চড় খাবি?’, দৈনিক সময়ের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সাহিত্যিক কমলেশ রায়ের সাইন্স ফিকশন ‘অসীম আলো’, দৈনিক দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা মামুনের কিশোর উপন্যাস ‘ভূতুড়ে পার্ক’, শিশুসাহিত্যিক আহমেদ রিয়াজের ছোটদের জন্য ভূতের গল্প ‘পাঁচহাতি ভূত’ ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের ‘ছোটদের ইলাস্ট্রেটেড বুক’সহ দারুণ সব বই।
কিন্ডারবুকসের স্টল নম্বর ৭১৯। মেলার প্রধান প্রবেশপথ (মন্দিরের গেট) দিয়ে ঢুকতেই হাতের ডানপাশে
‘কিন্ডারবুকস’-এর প্রকাশক মাহমুদুল হাসান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, শিশুর মানসিক বিকাশের কথা বিবেচনা করে আমরা খুব বাছাই করে বই প্রকাশ করছি। সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে শিশুদের জন্য বই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। সব সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে ও প্রতিবন্ধকতা জয় করে কীভাবে শিশুদের বাংলাদেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা বড় পরিসরে এ প্রকল্প শুরু করেছি।
তিনি বলেন, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের ‘ছোটদের ইলাস্ট্রেটেড বুক’ নামে একটি অনন্য বই আমরা বাজারে আনছি। বইটি শিশু-কিশোর ব্যাপক পছন্দ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। শিশুরা সবসময় গল্প-কার্টুন ভালোবাসে। এ ধরনের বই যেমন তাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে, তেমনি জানার জন্য তুলে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন তথ্যমূলক বইও। কনটেন্টের সঙ্গে বই ও কাগজের মানও বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, অনেক অভিভাবক প্রিয় সন্তানের হাতে তুলে দিতে চান তাদের পড়া প্রিয় বই। তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা ‘চিরায়ত গল্প সিরিজ’ নামে একটি সিরিজ শুরু করেছি। এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুয়োরানীর সাধ’, ‘তোতাকাহিনী’, ‘কাবুলিওয়ালা’, সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘তোতাকাহিনী’-সহ বিভিন্ন বইয়ের সহজবোধ্য সংস্করণ প্রকাশ করেছি। এই বইগুলো সম্পূর্ণ ইলাস্ট্রেটেড ও রঙিন। শিশুরা এসব বই খুব পছন্দ করে।
পিডিএস/মীর হেলাল