মো. আশিকুর রহমান শুভ, ঢাবি

  ০৪ মার্চ, ২০২২

ছুটির দিনে সকাল থেকে জমজমাট বইমেলা

অমর একুশে বইমেলার চলছে ১৮ তম দিন। সেই সাথে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বইমেলায় সকাল থেকেই সাধারণ পাঠক-দর্শনার্থী-প্রকাশকদের পদচারণায় ছিলো জমজমাট। তাতে বেড়েছে বই বিক্রির পরিমাণ। আসছে নতুন বইও৷

সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১১ টায় বইমেলার গেইট খুলে দেওয়ার পর থেকে আসতে শুরু শিশু- কিশোরদের দল। সাথে আছেন অভিভাবক। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পাঠক-দর্শনার্থী-প্রকাশকদের আগমন। দুপুরে নামাজের পর বইপ্রেমীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

স্টল-প্যাভিলিয়নের কর্মকর্তারা বলছেন, মেলায় বইপ্রেমীর উপস্থিতি সাথে বই বিক্রিও বেড়েছে অন্য দিনের তুলনায়।

মেলায় অন্য প্রকাশ, বাতিঘর, প্রথমা,অন্বেষা, কাকলী, অবসর, ঐতিহ্য এবং শিখা প্রকাশনী গুলোতে দেখা যায় বইপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। সেই সাথে ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিক্রয়কর্মীরা।

প্রথমা প্রকাশনীর এক বিক্রয়কর্মী জানান, মেলায় এখন অনেক নতুন বই এসেছে। আগে যারা ক্যাটালগ সংগ্রহ করেছিলো। তারা এসে এখন সেই পছন্দের বইগুলো কিনছে। যার কারণেই মেলার অন্য কোন ছুটির দিনের তুলনায় আজ বিক্রি ভাল হচ্ছে।

মেলায় আসা ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী আবদুল আহাদ আলভি বলেন, 'মেডিকেলের শিক্ষার্থী হলেও বাংলা বই আমার ভালো লাগে। আমি মেলায় এসে বই সংগ্রহ করি। বিভিন্ন বিষয় ধরে ধরে নতুন চিন্তার সঙ্গে পরিচিত হই।'

ছুটির দিনের সকাল ১১টায় শিশুপ্রহরে শিশুরাজ্যে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশ। তাদের আনন্দকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকিদের লাইভ পারফরম্যান্স।

এদিকে, মেলাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় টিএসসি, শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকায়৷ সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ২২০টি।

আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান : বিকাল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ : গাজীউল হক ও সিকান্দার আবু জাফর শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসির আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আমিনুর রহমান সুলতান, আলফ্রেড খোকন এবং তারেক রেজা। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আবুল মনসুর বলেন, ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক ও কবি সিকান্দার আবু জাফর দেশপ্রেমের আলোকে নিজেদের মূল্যবোধ ও চেতনাকে শাণিত করে নিয়েছিলেন। তাই সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছেন। সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে একটি শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁদের মূল্যবোধ ও আদর্শ আমাদের অনুসরণ করতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এই মহান দুজন দেশপ্রেমিকের জীবন ও কর্ম তুলে ধরতে হবে।

'লেখক বলছি' অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন আবদুস সেলিম এবং বিধান রিবেরু। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মাসুদুজ্জামান এবং আসাদ আহমেদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী অনন্যা সাহা এবং রত্না সিনহা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল রাখাল কিশোর ঠাকুরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ত্রিবেণী গণসাংস্কৃতিক সংস্থা’ এবং রুবিনা আজাদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘উদয় দিগঙ্গন’-এর পরিবেশনা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জমজমাট,বইমেলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close