মো. আশিকুর রহমান শুভ, ঢাবি প্রতিনিধি

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

এবারের বইমেলায় আশার আলো দেখছেন প্রকাশকরা 

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

অমর একুশে বইমেলার তৃতীয় দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে দ্বিতীয় দিনের তুলনায়। সেই সাথে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবারের বইমেলায় আশার আলো দেখছে প্রকাশকেরা। তবে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছে গত দুই বছর ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূর্ব পাশে বর্ধিত অংশে যারা স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে বইমেলা কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায় মেলার আয়োজন করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূর্ব পাশ ব্যতিত বইপ্রেমীদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। বইপ্রেমীরা বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেছে এবং কিনছে পছন্দের বই। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূর্ব পাশে সেই তুলনায় বইপ্রেমীদের আনাগোনা দেখা যায়নি।

উদ্যানে পূর্ব পাশে অর্থাৎ ইন্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট গেইটের দিকে এবার লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ পেয়েছে তৃপ্তি প্রকাশ, কুঠি প্রকাশনী। এই দিকে বরাদ্দ পেয়ে অনেকটা দুঃখ প্রকাশ করেই প্রকাশক সাব্বির আহমেদ বলেন, এই পাশে মেলা হোক আমরা কোনদিনই চাইনি। কেন বাংলা একাডেমি এদিকে মেলার আয়োজন করে তা বুঝি না, হয়তো স্বাধীনতা স্তম্ভের দুই পাশের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যই বরাদ্দ দেয়। কিন্তু এ পাশে কোন দিনই মেলা জমে উঠেনি, গত বছরেও যারা এদিকে স্টল বরাদ্দ পেয়েছিল সবারই লোকসান গুনতে হইছে।

তবে আশারবাণী শুনিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল অংশে যেসব স্টল-প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পেয়েছে সে সব প্রকাশকরা ৷ তারা বলছে, মেলার তৃতীয় দিনেই যে রকম পাঠকদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে, আশা করছি সামনে দিনগুলোতে এভাবে চলতে থাকলে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।

অন্বেষা প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাসিম হোসেন বলেন, যেহেতু মেলা ১৪ দিন পিছিয়ে শুরু হয়েছে, এখন যদি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী পর্যন্ত মেলার ব্যাপ্তি বাড়ানো হয় তাহলে আমরা আশা করছি গত বছরের ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবো।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বন্ধুদের সাথে নিয়ে বইমেলায় ঘুরতে এসেছেন তেজগাঁও কলেজ শিক্ষার্থী আমির হোসেন। তিনি বলেন, বরাবরই প্রতিবছর মেলায় আমার আসা হয়। তবে গত বছর লকডাউন থাকার কারণে আসতে পারিনি। তাই এবার এসে খুবই ভাল লাগছে।

মেলা থেকে কী কী বই কিনবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, হুমায়ুন আহমেদের একটি বই কিনবো আর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই একটি।

এদিকে সরেজমিনে লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ঘুরে দেখা যায়, দ্বিতীয় দিনের মতো আজও দুই-তৃতীয়াংশ স্টল ফাঁকা পড়ে আছে। প্রায় জনশূন্য লিটলম্যাগ চত্বরে মাত্র কয়েকটি স্টলে আছে স্বল্পসংখ্যক ম্যাগাজিন।

বাংলা একাডেমি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী বইমেলা শুরু হয় বেলা ২টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। বইমেলার তৃতীয় দিন নতুন বই এসেছে ৪১টি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বইমেলা,আশার আলো,প্রকাশক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close