বয়স ১১, সর্বকনিষ্ঠ লেখিকার বই প্রকাশ কাশ্মীরে
‘মানুষের থেকে কাগজ অনেক সহনশীল।’ নাৎসি জার্মানিতে হলোকাস্টের শিকার হওয়া কিশোরী আনা ফ্রাঙ্কের দিনলিপির কথা প্রথম অধ্যায়ে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত হলো আদিবা রিয়াজের প্রথম বই। বয়স ১১ বছর। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। জম্মু-কাশ্মীরের লেখকদের মধ্যে সে সর্বকনিষ্ঠ।
২০১৯ সালে অনন্তনাগ জেলা প্রশাসন আয়োজিত লেখালেখির প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছিল আদিবা। তারপর থেকেই স্বপ্ন দেখা শুরু। এরমধ্যে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পরে কাশ্মীরে জারি হয় কারফিউ। করোনায় লকডাউনও বেড়ে চলছিল। আদিবা জানায়, সেই পর্বেই কলম আঁকড়ে ধরা। বইয়ের পুরোটাই লেখা সাকুল্যে ১১ দিনে। শুরুতেই বলা—‘সবাই লেখক হতে পারে, কারণ কাগজে রক্ত ঝরানোটা সহজ’।
বইয়ের নাম ‘জিল অব পেন’। বাংলায় ‘কলমের উদ্দীপনা’। ৯৬ পাতাজুড়ে ৩৫টি অধ্যায়ে সাজানো আদিবার টুকরো-টুকরো মনের কথা, ৯টি কবিতা এবং ১১টি অনুচ্ছেদ। প্রচ্ছদ সাদা-কালো, দিন-রাতের মতো বরাবর দু’ভাগ করা। তার মধ্যে কালো ঝরা পালক থেকে ছিন্ন হয়ে উড়ে যাচ্ছে সাদা পাখিরা। বই হাতে ধরে লেখিকা নিজে, কালো হিজাবের ভেতরে উদ্ভাসিত মুখ—এমন ছবি ছড়িয়ে রয়েছে নেটদুনিয়ায়। বইও পাওয়া যাচ্ছে ইন্টারনেটে।
আদিবা জানিয়েছে, এবার লেখালেখিতে আরও মন দিতে চায়। এমন লেখা লিখতে চায়, যার মধ্যে সবাই নিজেকে খুঁজে পেতে পারে। খবর আনন্দবাজারের।