মাজহার মান্নান

  ২৭ অক্টোবর, ২০২১

কবিতার প্রতি তরুণ প্রজন্মের অনিহা কেন?

সাহিত্যের অতি পুরাতন এবং অভিজাত শাখা হচ্ছে কাব্য। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল কাব্যকে সমাজ বদলের এক বড় হাতিয়ার হিসাবে বিবেচনা করেছেন এবং কাব্য কলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। সাহিত্যের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসাবে কাব্যের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে মানুষের জীবনে। কাব্যিক ছন্দ একদিকে যেমন মানব হৃদয়ে দোলা দেয়, অন্যদিকে জীবনবোধের এক ধ্রুপদী শিক্ষার উন্মেষ ঘটায়। গ্রিক কাব্যে পয়েটিক জাস্টিস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। যুগে যুগে বিভিন্ন কবি তাদের অনন্য কাব্য সৃষ্টির মাধ্যমে মানবজাতিকে আলোকিত করেছেন এবং অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কাব্য সেই প্রাচীনকাল থেকেই ভূমিকা রেখে আসছেন। কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা শুধু সাহিত্য নয়, ইতিহাসের এক অনন্য সম্পদ। উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে এমন কালজয়ী কাব্য লিখে নজরুল যেমন খ্যাতি পেয়েছিলেন, তেমনি অপশাসনের শিকড় উপড়ে ফেলতে কালজয়ী ভূমিকা রেখেছিল এই কাব্য। সাহসী কবিরা সমাজ বদলে বিশেষ অবদান রাখেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার লেখনীতে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। কাব্য সাধারণ মানুষের জীবন সংগ্রামের কথা বলে। কবিতা মানবতাবাদের কথা বলে। জসীম উদদীনের কবিতায় ফুটে উঠেছে মানবতাবাদের দারুণ বহিঃপ্রকাশ।

‘আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা/আমি বাঁধি তাহার ঘর/আপন করিতে কাদিয়া বেড়াই/যে মোরে করেছে পর।’

কবির কল্পনা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, সমাজ চেতনাকে জাগ্রত করে। মানুষের জটিল চরিত্র কাব্যে ফুটে উঠে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যে ফুটে উঠেছে মানুষের চরিত্রের কিছু নেতিবাচক দিক।

‘কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে/ভাই বলে ডাকো যদি দেবো গলা টিপে/হেনো কালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা/কেরোসিন শিখা বলে এসো মোর দাদা।’

সামাজিক মূল্যবোধ জাগাতে করিরা সর্বজনীন ভূমিকা রাখেন। ভাষা ভাব প্রকাশের সংকেত। কাব্যিক ভাষা ভাবের এক সর্বজনীন প্রকাশ। কাব্যিক ভাষা অলংকরণে সমৃদ্ধ থাকে। প্লেটো বলেছেন, কাব্য উচ্চতর প্রজ্ঞাকে আরো বেশি বেগবান করে। মানুষের সাথে মানুষের ভেদাভেদকে কাব্য বর্জন করে। লালন তার কাব্যে মানুষকে সবার ওপরে স্থান দিয়েছেন।

একটি কবিতা একজন কবির জীবন খেয়ে বেঁচে থাকে। একটি কবিতার প্রতীকধর্মিতা, বিষয়ের গভীরতা, বিষয় ব্যঞ্জনা, শিল্প প্রকরণ, নান্দনিকতা, সাহিত্য রস একটি কবিতাকে অমর করে রাখে। একটি ভালো কবিতা বহু সময় ধরে পাঠকের মননশীল মানসিকতা তৈরিতে অবদান রাখে। এটাই কাব্য শিল্পের এক অনন্য দিক। কাব্যকে শিল্পের সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়। কাব্য শিল্প কোন মাত্রায় বিকশিত হবে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অনেক কবি সাম্যবাদী সমাজ গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন। কাজী নজরুল ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। একসময় তরুণরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, শামসুর রাহমানের কাব্যের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত ছিল। কিন্তু কালের পরিক্রমায় তরুণদের সেই আগ্রহে ভাটা পড়ছে।

সাহিত্যের একটি ধ্রুপদী মাধ্যম কবিতা। সাহিত্যের পাঠক মানেই কবিতা পাঠক নন। একুশে বইমেলায় কবিতার বই বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। প্রচুর কবিতার বই তৈরি হচ্ছে কিন্তু পাঠক সমাদর মিলছে না। জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে কবিতা টনিক হিসাবে কাজ করে। তবে সে কবিতা যদি পাঠক হৃদয়ে নাড়া দিতে না পারে, তবে তা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। তরুণ শিক্ষিতদের মধ্যে একটি বিশেষ শ্রেণি থাকে যারা কাব্য ভালোবাসে। কিন্তু সেই শ্রেণিও এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কেননা তাদের মনোপযোগী কাব্যের আজ বড় আকাল। বিখ্যাত কবিদের বাইরেও বহু কাব্য রচিত হয়। কিন্তু পরিবেশ ও সুযোগের অভাবে সেগুলো হারিয়ে যায়। এ দায় কি শুধু কবির বা পাঠকের? রাষ্ট্রেরও এক্ষেত্রে কিছু দায় আছে। কাব্য শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা বড় প্রয়োজন। অনেক ভালো কবিতা আছে যেগুলো পরিবেশ ও সুযোগের অভাবে আলোর মুখ দেখে না। আজ তরুণ প্রজন্মের হাতে মাদক উঠেছে, অথচ তাদের হাতে কাব্যের বই শোভা পাওয়ার কথা ছিল। একটি কবিতার বই একজন তরুণের মাঝে জীবনবোধ, পরিমিতিবোধ, দায়িত্ববোধ ও সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করে। কিন্তু কেন তাদের হাতে কাব্যের বই উঠে না? এটা কি শুধু তাদের দায় নাকি রাষ্ট্রেরও বড় দায় আছে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে কাব্য সম্মেলন তেমন একটা চোখে পড়ে না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেটুকু হচ্ছে তা দিয়ে কাব্যের বিস্তার সম্ভব নয়। বর্তমানেও অনেক নাম না জানা কবি ভাল কবিতা লিখছেন। তাদের এই লেখা যদি পাঠ্য পুস্তকে ঠাঁই করে দেওয়া যায় তবে তারা আরো উৎসাহিত হবে, আরো সৃষ্টিশীল কাব্য তৈরি হবে। তরুণ প্রজন্মকেও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হবে। বাবা মায়ের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে মাদক না কিনে একটি ভালো কবিতার বই কিনলে সে নিজেও উপকৃত হবে এবং সমৃদ্ধ হবে কাব্য শিল্প। ১০০/২০০ টাকায় একটি কবিতার বই কেনা যায়। অভিভাবকরা যদি তাদের সন্তানদেরকে বই কিনে দেন তবে তারা বিপৎগামী হবে না। অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে যে, কবিতা একজন তরুণের মনে বিশেষ প্রভাব ফেলে এবং মার্জিত রুচিবোধ তৈরি করে।


জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে কবিতা টনিক হিসাবে কাজ করে। কবিতা যদি পাঠক হৃদয়ে নাড়া দিতে না পারে, তবে তা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়


বেশ কিছু একাডেমিক গ্রন্থ আমি লিখেছি ইংরেজি গ্রামার ও সাহিত্যের ওপরে। কাজেই প্রকাশনা জগৎ সম্পর্কে আমার কম বেশি ধারণা আছে। একাডেমিক গ্রন্থ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রয় করে। বুকে বড় আশা নিয়ে আমার এক পরিচিত প্রকাশকের কাছে গেলাম একটি কবিতার বই ছাপাবো বলে। তার কথা শুনে আমার চক্ষু চরক গাছ। তিনি আমাকে যা শোনালেন তা রীতিমতো ভয়ংকর। তিনি ছাপ জানিয়ে দিলেন কবিতার বই মানুষ কিনে না, তাই তিনি ছাপাতে রাজি নন। তিনি নিজ খরচে ছাপানো ও বিক্রির পরামর্শ দিলেন। হতাশ হয়ে ফিরে এলাম বাসায়। কিন্তু কেন মানুষ কবিতার বই কিনে না সেই প্রশ্ন আমার মনে ঘুরপাক খেতে লাগলো। জরিপ করতে শুরু করলাম। যেহেতু আমি কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াই, তাই জরিপ কাজটি আমার জন্য সহজ ছিল। ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করলাম তারা কবিতার বই পড়ে কিনা বা কিনে কিনা। বেশিরভাগ উত্তর দিলো কবিতা পড়তে তাদের ভালোলাগে না। হেতু হিসাবে তারা আমাকে জানালো যে, আধুনিক কবিতা পড়ে তারা কোনো মজা পায় না, কোনো ছন্দ খুঁজে পায় না, কবিতার ভাষা তারা বুঝে না। তাদের যুক্তিগুলো আমি মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। তাদের কথাগুলো ফেলে দেওয়ার মতো ছিল না। কেননা কেউ যদি কোনো কিছু পড়ে বুঝতে না পারে তবে কেন সে টাকা দিয়ে তা কিনবে। অনুসন্ধানের আগ্রহ আমার আরো বেড়ে গেলো। শুরু করলাম আধুনিক কিছু কাব্য নিয়ে স্টাডি। অনেকগুলো বিষয় আমার নজরে এলো। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। অন্যের চিন্তার সাথে নাও মিলতে পারে। পাঠক সরে যাওয়ার পেছনে আমি নিম্নোক্ত হেতুগুলো খুঁজে পেয়েছি।

১. মানহীন লেখা। ২. ভাষার জটিলতা ৩. ছন্দের অভাব ৪. সঠিক মাত্রা বিন্যাসের অভাব ৫. অন্তঃসারশূন্য বিষয়বস্তু ৭. লেখার মান যাচাই না করেই নির্বিচারে কবিতার বই ছাপানো ৮. মিডিয়া কাভারেজ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না পাওয়া ৯. যে তেনো লিখে বড় কবি হওয়ার বাসনা ১০. লেখার মৌলিকত্বের দিকে নজর না দেওয়া ১১. কাব্য আন্দোলন তৈরিতে ব্যর্থ হওয়া ১২. যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কাব্য রচনা করতে না পারা। ১৩. কবিতা পড়া নয়, শুধু লিখে কবি পরিচিতি নেওয়ার বাসনা। ১৪. ছাপানো সব বই সৌজন্য দিয়ে নিজেকে কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার ব্যর্থ চেষ্টা ১৫. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কবিতা লিখে রাতারাতি কবি হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন।

আরো অনেক কারণ আছে। সেগুলোর দিকে নাই বা গেলাম। William Wordsworth রোমান্টিক যুগের শুরু করলেন যা সাহিত্যের এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল। তার মূল কথা ছিল কাব্যিক ভাষা হবে সহজ-সরল যেন সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারে। তাল নাই, লয় নাই, ভাষার মাধুর্য নাই, সারসত্তা নেই এমন কাব্য কেউ রচনা করলে তা কাব্য হয়ে উঠবে না। যে কাব্য পাঠক হৃদয়ে নাড়া দিতে পারে না সে কাব্য মানুষ বর্জন করে। আজ কাব্য জগতে খড়া চলছে। কবিদের কর্মকাণ্ড দেখে কি বলবো তা ভেবে পাই না। বর্তমানে হাজার হাজার অন লাইন কাব্য পরিষদ। সহজভাবে বললে প্রতি কবি ( কবি কিনা তা বিধাতা জানে) একটি করে গ্রুপ সৃষ্টি করেছেন। কেউ কেউ আবার ৩/৪ টি ও করেছেন। বাহারি পদের নাম আর রংচং এ কাব্য কতটুকু চর্চা হয় তা বলা মুশকিল। কবিতা গ্রুপগুলি সদস্য বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। কবিতার মান তো দূরের কথা, নিজের মান নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। কবিতা না পড়ে কপি পেস্ট মন্তব্য করার যে হিড়িক প্রতিটি গ্রুপে চলে তা এখন ওপেন সিক্রেট। আর এ ধরনের মন্তব্য পেয়ে পোস্ট দাতা কবি (কবি কিনা বলা মুশকিল) আবেগে ফেটে পড়ে এবং সর্বোচ্চ ভাষা প্রয়োগ করে কৃতজ্ঞতা জানাতে থাকে। অনলাইন কাব্য গ্রুপ গুলি বছরে হয়তো একটি অনুষ্ঠান করে এবং আর্থিক অনুদান নিয়ে অথবা অন্য কোন উপায়ে একটি ক্রেস্ট হাতে ধরিয়ে দেয়। ক্রেস্টটি পেয়ে ( যদিও নিজ অর্থ ব্যয়ে) সে নিজেকে মহাকবি ভাবতে শুরু করে। মরীচিকার পিছনে ছুটে চলা এসব কবি কি আসলেই কবি? যৌথভাবে অনেক কাব্যগ্রন্থ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এতে কবির কি লাভ হচ্ছে? নিজের বই নিজের ক্রয় করতে হয়। অর্থাৎ কিছু কবির হাতেই বই ঘুরাফেরা করে, পাঠক সেটা কিনে পড়ে না। তবে একেবারে যে মানুষ কবিতার বই কিনে না তা কিন্তু নয়। ভাল মানের লেখা হলে কিনে পড়ে। প্রশ্ন হল লেখার মানের দিকে কজন নজর দিতে পারছেন। এবার আসি মিডিয়া কাভারেজ নিয়ে। অনেক কবির মানসম্মত লেখাও কালের গর্ভে হারিয়ে যায় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে। মিডিয়া কাভারেজ না থাকলে পরিচিতি বাড়ে না। পাঠকেরা ঐ লেখকের লেখা সম্পর্কে জানতে পারে না। কবি শামসুর রহমান, কবি সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলুন্দ গুণ, এমদাদুল হক মিলন সহ অনেক কবি আছে যারা তাদের মৌলিক লেখার গুণে খ্যাতি পেয়েছেন। কিন্তু তারা সাংবাদিক হওয়াতে তারা সহজে মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছেন। পাঠ্য বইতে কারও একটি কবিতা যুক্ত হলেতো কথাই নেই।

পাঠককে আবার সেই পূর্বের মতো মনোযোগী করে তুলতে হলে কবিদের কিছু কাজ করতে হবে—১. মৌলিক লেখা উপহার দিতে হবে। ২. ছন্দে লেখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ ছন্দ কবিতা পড়তে সবার ভালোলাগে। ৩. সঠিক মাত্রা জ্ঞান নিয়ে কবিতা লিখতে হবে। ৪. সৌজন্য কপি দিয়ে কবি হওয়ার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ৫. পাঠকদের মাঝে কাব্য আন্দোলন তৈরি করতে হবে।

প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য সব লেখক, কবি চেষ্টা করে। কিন্তু সে চেষ্টাটার মাঝে যেন থাকে মেধার বিকাশ, সততা, মৌলিকত্ব ও ধৈর্য। সবাই নজরুল বা রবীন্দ্রনাথের মতো জনপ্রিয় হবে না। কিন্তু ভালো মানের লেখা উপহার দেওয়ার চেষ্টা চালাতে হবে। যুগের চাহিদা অনুযায়ী কাব্য রচনায় ব্যর্থ হলে সে দায় কবিদের নিতে হবে। দু চারটি কবিতা লিখেই বই প্রকাশ করার একটি হিরিক লক্ষ্য করা যায় কবিদের মধ্যে। এ ধরনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোরও কিছু দায়িত্ব আছে এক্ষেত্রে। অনেক ভাল মানের লেখা চাপা পড়ে যায়, অথচ শক্ত যোগাযোগের কারণে অনেক সময় মানহীন লেখাও ছাপা হয়ে যায়। ফেসবুকে কাব্য চর্চার একটি অবাধ ক্ষেত্র। কিন্তু সেখানে লেখার মৌলিকত্ব দেখার কেউ নেই। যে যার মত করে লেখে যাচ্ছে। সবাই সস্তা এবং দ্রুত জনপ্রিয়তার পেছনে অবিরাম ছুটে চলেছে। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো সাহিত্যের সেবা করে তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। যোগ্য লেখাকে পুরস্কৃত করা ও লেখককে সম্মান দেওয়া তাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমার নগণ্য জ্ঞানে এতটুকু বুঝি যে, মানসম্মত ও মৌলিক লেখা উপহার দিলে পাঠক সেটা লুফে নেবে। পাঠকদেরকে এত বোকা ভাবার কোনো কারণ নেই।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সাহিত্য,কবিতা,তরুণ প্রজন্ম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close