reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ আগস্ট, ২০২১

নক্ষত্রের পতন

বুদ্ধদেব গুহ’র জীবনাবসান

ফাইল ছবি

সাহিত্য জগতের অনন্য প্রতিভা বুদ্ধদেব গুহ। কোভিড পরবর্তী অসুস্থতায় সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী ছেড়ে তিনি চলে গেলেন পরপারে। রোববার ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর ৷

গত ৩১ জুলাই থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

চলতি বছরের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অশীতিপর এই সাহিত্যিক। সেই সময় শহরের একটি হোটেলে নিভৃতবাসে থাকার পর, তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। ৩৩ দিন লড়াইয়ের পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব। তবে এবার আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা হলো না তার।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এছাড়া তার লিভার এবং কিডনিতেও সামান্য সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। ফের কোভিড পরীক্ষাও করা হয়েছিল। তবে তাতে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভোগা বুদ্ধদেব বয়সজনিত নানা সমস্যাতেও ভুগছিলেন।

সমকালীন বাংলা সাহিত্যে নিজের জায়গা গড়ে নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গল মহল’-এর পর থেকে ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘বাবলি’-একের পর এক উপন্যাস উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। কিশোর সাহিত্যেও ছিল অবাধ বিচরণ। তার সৃষ্ট ‘ঋজুদা’ বা ‘ঋভু’র মতো চরিত্র আকৃষ্ট করে রেখেছে কয়েক প্রজন্মের বহু কিশোর-কিশোরীর মনকে। হলুদ বসন্ত উপন্যাসের জন্য ১৯৭৬ সালে পান আনন্দ পুরস্কার।

৮৫ বছর বয়সি বুদ্ধদেব গুহর দেশজুড়ে অগণিত ভক্ত রয়েছেন ৷ তাঁদের প্রিয় সাহিত্যিকের প্রয়াণে বাংলার সাহিত্য জগতে নেমে এসেছে শোকে ছায়া ৷

১৯৩৬ সালে ২৯ জুন কলকাতায় জন্ম নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ ৷ পেশাগত জীবনে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হলেও তাঁর ছোটগল্প ও উপন্যাসে পাঠক পান এক স্বপ্নালু বিমূর্ততা ও রোম্যান্টিক আবেদন ৷

পিডিএসও/ইউসুফ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সাহিত্যজগৎ,বুদ্ধদেব গুহ,জীবনাবসান,প্রয়াণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close