সাইমুম রিদা

  ১৪ জানুয়ারি, ২০২১

এক মলাটে আল্লামা গহরপুরীর জীবন ও কর্ম

বরেণ্য বুজুর্গ আলেম ছিলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা নূরউদ্দীন আহমদ গহরপুরী (রহ.)। ‘মুহাদ্দিস সাহেব’ ও ‘গহরপুরী হুজুর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন দেশ-বিদেশে। শাইখুল আরব ওয়াল আজম হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)-এর একান্ত খাদেম ও শাগরেদ ছিলেন। সিলেটের জামিয়া গহরপুরসহ অসংখ্য মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রায় ৯ বছর কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ইলমি ও আধ্যাত্মিকতায় তার অবস্থান ছিল অনন্য উচ্চতায়। এই আলেমের ইন্তেকালের প্রায় ১৫ বছর পর প্রকাশিত হলো একটি সমৃদ্ধ ও প্রামাণ্য স্মারকগ্রন্থ। সেখানে উঠে এসেছে তার জীবন-কর্ম ও সাধনার নানা দিক।

স্মারকগ্রন্থটির শুরুতে রয়েছে আল্লামা গহরপুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী। নানা শ্রেণি-পেশার ২৪১ জনের লেখায় সমৃদ্ধ হয়েছে স্মারকগ্রন্থটি। দেশের প্রথম সারির আলেমদের বড় অংশের লেখা স্থান পেয়েছে এতে। রয়েছে এমপি-মন্ত্রী-মেয়রসহ সমাজের বিশিষ্টজনদের লেখাও। ১২টি অধ্যায়ে বিভক্ত স্মারকগ্রন্থটিতে এই বুজুর্গ আলেমের জীবনের প্রায় সব দিকই উঠে এসেছে। দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ করার ফলে স্মারকগ্রন্থটিতে এমন প্রায় ৭০ জনের লেখা এসেছে, যারা গত এক দশকে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন।

‘সমকালীন মনীষীদের চোখে’ অধ্যায়ে দেশের শীর্ষ ১২ জন আলেম-মনীষীর লেখা স্থান পেয়েছে, যাদের কেউ আর এখন বেঁচে নেই। পরের অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে আল্লামা গহরপুরীর ৯ জন খলিফার অভিব্যক্তি। ‘স্মৃতির আঙিনায়’ ১১৫ জনের স্মৃতিচারণামূলক লেখা রয়েছে। পর্যালোচনা অধ্যায়ে তার জীবনের ওপর মূল্যায়নধর্মী লেখা রয়েছে ৩৮টি। সমকালীন মনীষীদের সন্তানদের মধ্যে লিখেছেন ২০ জন। প্রবাসীরা স্মৃতিচারণা করেছেন স্বতন্ত্র অধ্যায়ে। এ ছাড়া এলাকাবাসীর কথা, পরিবারের সদস্যদের কথা, ঘনিষ্ঠ মানুষদের অভিব্যক্তি ও টুকরো কথা নিয়ে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়। পরিশিষ্টে ইংরেজি ও আরবিতে দুটি লেখায় তুলে ধরা হয়েছে এই মনীষী-আলেমের সংক্ষিপ্ত জীবনী।

প্রায় আটশ পৃষ্ঠার স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে আল্লামা গহরপুরী (রহ.) ফাউন্ডেশন। ঝকঝকে প্রচ্ছদে মোড়ানো বোর্ড বাঁধাই রয়েল সাইজের বইটির শেষ দিকে ২৪ পৃষ্ঠাজুড়ে চার রঙের প্রামাণ্য ফটো অ্যালবাম রয়েছে। সেখানে আল্লামা গহরপুরীর বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন স্থান পেয়েছে।

সমৃদ্ধ এই স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক শরীফ মুহাম্মদ। নির্বাহী সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর। আল্লামা গহরপুরীর ছেলে ও গহরপুর জামিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুসলেহুদ্দীনের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত স্মারকটিতে সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আবদুল্লাহ মুকাররম, আলী হাসান তৈয়ব ও রোকন রাইয়ান। সিলেটের জামিয়া গহরপুর, বন্দরবাজার আল মানার লাইব্রেরি, ঢাকার বাংলাবাজারের দারুল উলুম লাইব্রেরি, বায়তুল মোকাররমের দারুত তাজকিয়া থেকে সংগ্রহ করা যাবে বইটি। এ ছাড়া রকমারি ডটকমেও পাওয়া যাবে। মূল্য ১০০০ টাকা। গ্রাহকদের জন্য আছে বিশেষ কমিশন।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বই আলোচনা,নূরউদ্দীন আহমদ গহরপুরী,স্মারকগ্রন্থ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close