যানজটে স্থবির ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক
যাত্রীদের দুর্ভোগ
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট থাকায় এ রোডে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানার পুলিশ ও মির্জাপুর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট শুরু হয়। বৃহস্পতিবার মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস, দেওহাটা ও জামুর্কী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো মহাসড়ক। ঈদে মহাসড়ক সচল রাখার জন্য ও যানজট দূরীকরণের জন্য পুলিশের পাশাপাশি সেনা ও বিজিবি মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
পুলিশ সূত্র জানায়, এ মহাসড়কের যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে—ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেন প্রকল্প ও গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়া। চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত এই ৭০ কি. মি. মহাসড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ ঢালাই উঠে ছোট বড় অসংখ্য খানা খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান জানান, আজ ভোর রাতে মহাসড়কের উপজেলার মির্জাপুর চরপাড়া বাইপাস এলাকায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে দুই পাশে তীব্র যানজট শুরু হয়। এছাড়া মহাসড়কের জামুর্কী ও পাকুল্লা এলাকা এবং কালিয়াকৈর রেলওয়ে ওভারপাসের ওপর পরপর কয়েকটি মালবাহী ট্রাক বিকল হয়ে মহাসড়কের দুই পাশে যানজট শুরু হয়। থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ খবর পেয়ে বিকল হওয়া ট্রাকগুলো সরানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে, মহাসড়কের চন্দ্র থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কজুড়েই এখন তীব্র যানজটে স্থবির। সবচেয়ে বেশী দুভোর্গ দেখা দিয়েছে মির্জাপুর বাইপাস থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত এলাকায়। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চন্দ্রা এলাকায় ওভার ব্রিজ নির্মাণের ফলে যানবাহন ঠিকমত পারাপার হতে পারছে না। যানজট নিরসনের জন্য ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
পিডিএসও/হেলাল