মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পটুয়াখালী

  ১৯ আগস্ট, ২০১৭

পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙনে ৪ গ্রাম প্লাবিত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা নদীর রামপুর লঞ্চঘাট থেকে প্রায় দুইশত ফুট ওয়াপদা বেড়িবাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙ্গনের ফলে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম। প্রতিদিন জোয়ারের প্রভাবে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের সন্তোষপুর,আর্জিদুর্গাপুর,মধ্যে ও পূর্ব এবং উত্তর রামপুর এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে আর্জিদুর্গাপুর এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ ওই এলাকার লোকজন চলাচল করতে দারুন অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এমনি ওই স্থানে বিকল্প কোন যাতয়াতের ব্যবস্থা না থাকায় তাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বাঁধ ভাঙ্গার কারেন রামপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উঠা-নামা করতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

ভুটিয়ারহাট এলাকার মাদ্রসা ছাত্র হৃদয়, জাকারিয়া,আবুছালে জানান,বেড়িঁবাধঁ ভেঙ্গে গেলে বাশেঁর সাকোঁ ও সুপারি গাছ দিয়ে চলাচল করা যেতো। বর্তমানে পায়রা নদীর ভাঙ্গনের প্রবনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁশের সাঁকো আর কাজে আসছেনা। একারণে এলাকার ছাত্ররা এখন আর মাদ্রসায় যেতে চায় না ভেসে যাবার ভয়ে। ভাঙ্গনের কারনে ইতিমধ্যে পূর্ব রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুন্দ্রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ফলে ওই এলাকার মানুষজন আতংকের মধ্যে বাস করছে। যে কোন সময়ে বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। পায়রা নদীল রামপুর এলাকায় একাধিকবার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও তা জোয়ারের প্রভাবে এমনকি পায়রা নদীর ভাঙ্গনের কারনে বিভিন্ন অংশে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ এলাকার মানুষ বর্ষা মৌসুমে পায়রা নদী তীরবর্তী মানুষেরা আতঙ্কে বাস করে যে কখন যেন তাদের বানের পানিকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এদিকে উপজেলার সুন্দ্রা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ার কারনে ৪ থেকে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয় জোয়ারের সময়ে।

রামপুর এলাকার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,পায়রা নদী গর্ভে প্রতিদিন ভেঙ্গে যাচ্ছে বেড়িঁবাধঁসহ ফসলী জমি। ভাঙ্গন কবলিত মানুষজন তারা স্কুলের বারান্দায়,অন্যের জমিতে এবং উচুঁ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এমনকি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। ইতিমধ্যেই দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভাঙ্গনের কারেন বর্তমানে রামপুর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রসাওটি কয়েকদিনের মধ্যে ভেঙ্গে যাবে। এ নিয়ে মাদ্রাসটি তিন বার স্থানন্তর করা হয়েছে। ভাঙ্গন না কমলে মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়নটি আয়তন কমে যাবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন,মির্জাগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন ভাঙ্গন কবলিত ইউনিয়না। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক স্যারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং স্যার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেন।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান জানান,ওই মির্জাগঞ্জের রামপুরসহ আরো একাধিক গ্রাম নদী ভাঙ্গন এলাকা। তাই নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য ইতিমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির মাধ্যমে টেকনিক্যাল রিপোর্ট তৈরী কাজ চলছে এবং সারে চার কিলোমিটার নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা চলছে। এটা বাস্তবায়িত হলে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে।

পিডিএসও/রানা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বেড়িবাঁধ ভাঙন,গ্রাম প্লাবিত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist