পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ
তিস্তায় রেড অ্যালার্ট
লালমনিরহাটের তিস্তা-ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় শনিবার রাত থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। বিগত এক সপ্তাহ থেকে ভারীবর্ষণ ও ভারত থেকে পানি বাংলাদেশের দিকে নেমে আসায় তিস্তা ব্যারাজ হুমকির মুখে পড়েছে।
ডালিয়া (দোয়ানী ব্যারেজ) পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রোববার ভোর ছয়টা থেকে দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ও কুলাঘাট পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ। তিনি জানান, তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেয়া হয়েছে। এতেও পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে তিস্তা পাড়ে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ফ্লাট বাইপাশ এলাকার লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। ব্যারাজের ফ্লাট বাইপাশ এলাকার ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এতে পানি ঢুকে পড়েছে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু এলাকায়। ব্যারাজ রক্ষার্থে যেকোনো মুহূর্তে ফ্লাট বাইপাশ কেটে দেয়া হতে পারে। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়বে। তবে ব্যারাজ রক্ষার্থে সবরকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ইতোমধ্যে হাজার হাজার বিঘা জমির সদ্য রোপণকৃত আমন ধান, সবজিসহ নানা ফসল ও রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে পানির নিচে। পানিবন্দি রয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এদিকে, সারপুকুর ইউনিয়রে চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম প্রধান জানান, আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের চওড়াটারী গ্রামে গত শনিবার সন্ধ্যায় বন্যায় জমে থাকা নর্দমার পানিতে ডুবে আলতাব আলীর ছেলে মোস্তফা বাবুর (৬) মৃত্যু হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাফিউল আরিফ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বন্যার্তদের নিরাপদ স্থানে সরে আনাসহ তাদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
পিডিএসও/হেলাল