ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে এক অভিযান চালিয়েছেন। তিনি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের হাজিরা খাতা পরিদর্শন করেন।
অভিযান কালে তিনি দেখতে পান হাসপাতালে পোষ্টিং এবং খাতায় নাম থাকলেও ডাক্তার হাসপাতালে নেই। এমনকি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেই। ছুটির আবেদন না করেই কয়েকজন চিকিৎসক ছুটি ভোগ করছেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের বিভিন্ন অভিযোগ শোনেন। অভিযোগ রয়েছে, হাপসাতালে রোগীদের ঠিক মতো দেখতে যান না চিকিৎসকরা। তাছাড়া নার্সরাও ঠিক মতো রোগীদের সেবা দেন না। হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন থাকলেও এক্স-রে করানো হয় না। ডাক্তারা বাইরের প্রাইভেট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে আনতে বলেন এমন অভিযোগ রোগীদের। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ হচ্ছে।
অভিযানে তিনি এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ড. মো. আবুল হাসান, ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা, কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যাদব সরকার। দুদক কমিশানার অভিযোগ ও বিভিন্ন অনিয়ম প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানার কাছে জানতে চান। সির্ভিল সার্জনও সরেজমিন পরিদর্শন করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রমাণ পান। দুদকের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ড. মো. আবুল হাসান জানান, যে সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে তার বিষয়ে দুদকের কমিশনার এএফ এম আমিনুল ইসলাম ঢাকায় ফিরে গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, অভিযোগের সত্যতা আমিও পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিডিএসও/রানা