পটুয়াখালীর চরাঞ্চলে জোয়ার ভাটা নির্ভর স্কুল
পটুয়াখালী চরাঞ্চল ও নিচু এলাকা জোয়ারের পানি ও টানা ৪ দিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়ত ব্যাবস্থা হয়েছে নৌকা নির্ভর। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসব নিচু এরাকার প্রাইমারী স্কুল চলছে জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে। বাউফলের মমিনপুরের চর, চরআলগী, চরতাবলীগ, চরআদবড়াল, চরফেডারেশন, চরওয়াডেল, চরমিয়াজান, চররায়সাহেব, চরবাসুদেবপাশা, চরব্যারেট পানিতে তলিয়ে তেঁতুলিয়া নদীর সাথে একাকার হয়ে বেহাল দশা হয়েছে।
নাজিরপুর,কেশবপুর,ধুলিয়ার তেঁতুলিয়া পাশের আরসিসি সড়কের ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করে মুল ভূখন্ডের ১০ গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি হয়েছে। অনেকের বসত ঘর, বাগান বাড়িতে পানি ডুকে পড়ায় স্বাভাবিক কর্মকান্ডে পড়তে হয়েছে বিপাকে। গ্রীষ্ম কালীন সবজি ক্ষেত, মাছের ঘের, পুকুর, উঠতি আউশের ও আমন ধানের বীজতলা ২-৩ ফুট পানিতে তলিয়ে মারাত্মক ফসলহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার মানুষের যাতায়ত, ঘর-গৃহস্থলি, রান্না-বান্না ও সেনিটেশন ব্যাবস্থা ভেঙে পড়েছে। শ্রমজীবি মানুষের স্বাভাবিক কাজ কাম ব্যহত হয়ে পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান জানায়, উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ৩ হজার১৫০ হেক্টরে আউশ চাষ হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় উঠতি আউশের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা নেই। নিচু এলাকায় আমন বীজ নষ্ট হওয়ার কথা জানাগেছে। এক্ষেত্রে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
পিডিএসও/রানা