রংপুর প্রতিনিধি
অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
রংপুরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে পুকুর!
রংপুরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে পুকুর, কমে আসছে পানির আধার। যে পুকুরগুলো টিকে আছে সেগুলোর অবস্থাও নাজুক। এতে করে অগ্নিনির্বাপনে পানির সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে—এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের।
নগরীর রবাটসনগঞ্জ এলাকার ‘স’ মিলের পেছনের আনোয়ারের পুকুরটি এক মাস আগে ভরাট হয়ে গেছে। নুরপুরের ছোট কবর স্থানপাড়ের বিশাল পুকুরটির অর্ধেক ভরাট করা হয়েছে। কুটিরপাড়ার বাবুলের পুকুরটি ৮ মাস আগে ভরাট করে বসতি গড়ে তোলা হয়। আর ২ বছর আগে ভরাট করা হয় গনেশপুরের বকুলতলা এলাকার বড় পুকুরটি। নগরীর প্রাণকেন্দ্রের আশেপাশে কোনো পুকুর না থাকায় সুপার মার্কেট, নবাগঞ্জ মার্কেট, কাচারী বাজার বেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। একই অবস্থায় রয়েছে স্টেশনের বাবুপাড়া, মুসলিমপাড়ার লোকজন। নেই কোনো পুকুর। আগুন লাগলে বসতবাড়ি রক্ষা করা কঠিন হবে।
রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকার ৩ নং ইস্পাহানী ক্যাম্পের চেয়ারম্যান খুরশেদ আলম বলেন, ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে এই ক্যাম্পে আগুন ধরে। আশেপাশে কোনো পুকুর না থাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের আগুন নিয়ন্ত্রে আনতে বেশ সময় লাগে। ততক্ষণে ৬শত ঘরের ১৩০টিই পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান শেখ এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রিপারেশন অব মাস্টার প্ল্যান সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৬টি বিল, ৬টি ইরিগেশন ক্যানেল, ৭০টি খাল, ১৪টি লেগ ও নদী রয়েছে ২টি। তবে ওয়ার্ডের সিংহভাগ পুুকুর পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে বলেও জানা যায়। সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, যেসব দীঘি-পুকুর অযত্ন-অবহেলায় আছে তা খননের পরিকল্পনা আছে সিটি করপোরেশনের।
পিডিএসও/হেলাল