বাগেরহাট প্রতিনিধি

  ২০ জুলাই, ২০১৭

ছেলেকে দেখতে গিয়ে লাশ হলেন মা

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ছেলেকে দেখতে গিয়ে লাশ হলেন খাদিজা বেগম (২৫) নামের এক মা। ছেলেকে দেখতে যাওয়ার অপরাধে প্রাক্তন স্বামীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলো তাকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের পেড়িখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ খাদিজার প্রাক্তন স্বামী শেখ জাকির হোসেনকে আটক করতে পারেনি। খাদিজা রামপাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া প্রামের গোলাম আলী শেখের মেয়ে।

রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেলায়েত হোসেন জানান, সকালে বৃষ্টির মধ্যে ঝনঝনিয়া গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে খাদিজা তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে থাকা আট বছর বয়সী ছেলে শেখ জোবায়ের হোসেনকে দেখতে পেড়িখালি গ্রামে যান। তিনি পেড়িখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছেলে জোবায়েরের সঙ্গে দেখা করে তাকে একটি ছাতি দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার প্রাক্তন স্বামী খাদিজার উপস্থিতি জানতে পেরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। খাদিজা স্কুল ছেড়ে সামনে পৌঁছলে তার প্রাক্তন স্বামী হঠাৎ দৌড়ে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় খাদিজা জীবন বাঁচাতে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খাদিজার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দশ বছর আগে রামপাল উপজেলার পেড়িখালি গ্রামের হানিফ শেখের ছেলের সঙ্গে খাদিজার বিয়ে হয়। তাদের জোবায়ের হোসেন নামে একটি সন্তান হয়। তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর ছেলে জোবায়ের হোসেন তার বাবার কাছে থাকত। মাঝে মধ্যে ওই ছেলেকে দেখতে খাদিজা লুকিয়ে পেড়িখালি গ্রামে যেতেন।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ছেলে,লাশ,মা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist