মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পটুয়াখালী
নদী ভাঙ্গণে বিলীন হওয়ার পথে ভূরিয়া বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়
পটুয়াখালীর শৌলা ইউনিয়নে ভূরিয়া গ্রামের বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয়ে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫০০ জন। শিক্ষক সহ স্টাফ রয়েছে ১৪ জন। কিন্তু নদী তীরবর্তী হওয়ায় ক্রমোশ নদী ভাঙ্গনে অচিরেই নদীর গর্বে বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে বিদ্যালয়টি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ার ও বিভিন্ন মৌসুমে বিদ্যালয়ের অফিস ও ক্লাস রুমে ২ থেকে ৩ ফুট পানি জমে। এছাড়া বিদ্যালয়টি বর্তমানে অত্যান্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। বিদ্যালয়ের কঙ্কক্রিট খসে পড়ছে এবং ছাদ থেকে ক্লাস রুমে বৃস্টির সময় পানি পড়ে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে কয়েকটি টিন সেড ক্লাস রুম সেগুলোও জরাজীর্ণ অবস্থা। অনতিবিলম্বে বিদ্যালয়টি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা উচিত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির অবস্থান ভাঙ্গণ দুরত্ব থেকে মাত্র ৫ থেকে ১০ ফুট। এর আশেপাশে নদীর তীরবর্তী রয়েছে ভূরিয়া ভূমি অফিস, ৪৩নং ভূরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোষ্ট অফিস, ইউনিয়ন অফিস ও ঐতিহ্যবাহী ভূরিয়া বাজার সেগুলোও নদী ভাঙ্গনে ক্রমোশ বিলিন হওয়ার পথে। বিদ্যালয় সংলগ্ন গণপাঠাগারটিও প্রায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় এবং সেটিও নদী গর্বে বিলিন হওয়ার উপক্রম।
এ বিষয়ে বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. ফিরোজ আহমেদ খান ও প্রধান শিক্ষক এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদী যে আকারে ভাঙ্গছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্কুলটি নদী গর্বে বিলিন হয়ে যেতে পারে। ভাঙ্গণ থেকে বিদ্যালয়ের দুরত্ব মাত্র ৫ থেকে ১০ ফুট। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়টিকে নদী গর্বে বিলিন হওয়া থেকে রোধ কারার পাশাপাশি জরাজীর্ণ কক্ষের পরিবর্তে নতুন ভবন নির্মানের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
পিডিএসও/রানা