শেরপুরে ডাকাতদলের ৪ সদস্যের আত্মসমর্পণ
শেরপুরে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের চার সদস্য পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এরা হলেন সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের মৃত জামালউদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম (৬০), একই গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে লোকমান মিয়া (৫০), উত্তরপাড়া গ্রামের কেরানীর ছেলে ছামেদুল ইসলাম (৩৫) এবং নয়াপাড়া গ্রামের সমেজ উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪২)।
কমিউনিটি পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষায় মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুর সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেন তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আত্মসমর্পণকারী চারজনই দুর্ধর্ষ ডাকাত। প্রায় দেড় যুগ ধরে তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তারা প্রত্যেকেই আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭-১০টি করে মামলা রয়েছে। এদের অত্যাচারে একসময় জেলার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাতো।
শেরপুর জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ ভট্টাচার্য জানান, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খন্দকার লাবনী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি এবং চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সুরুজকে কিছুদিন আগে ওই চার ডাকাতকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান সুরুজ ও তাঁর কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা এবং সদর থানার ওসি (তদন্ত) পরিদর্শক বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ওই চার ডাকাতকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। একপর্যায়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে আগ্রহী হন। পরে পুলিশ সুপার তাদের সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিলে মঙ্গলবার বিকেলে ওই চার ডাকাত শেরপুর সদর থানায় আত্মসমর্পন করেন।
চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সুরুজ বলেন, আমরা এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসব। শেরপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল) খন্দকার লাবনী বলেন, আত্মসমর্পণকারী চার ডাকাতকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ভবিষ্যতে সবরকম সহায়তা দেবে পুলিশ।
পিডিএসও/হেলাল