পিরোজপুরের কাউখালীতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মিমাংসা করে দেয়ার কথা গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাশুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ধর্ষিতা গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, জেলার নেছারাবাদ উপজেলার গোনম্যান গ্রামের এক তরুনীর সাথে এক বছর আগে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার এক নবমুসলিম যুবকের (৩০) সাথে প্রেম করে বিয়ে হয়। ওই যুবক নবমুসলিম হওয়ায় তরুনীর পরিবার এ বিয়ে মেনে নেন নি। কিন্তু গত ২২দিন আগে ওই নব মসুলিম যুবক তার স্ত্রীসহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাশুরী গ্রামের জনৈক নাছির মাস্টারের বাড়িতে ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক নেহেরু বেগমের সহায়তায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন। আর ওই বাড়ির মালিক নাছির মাস্টার থাকেন উপজেলা সদরের বাড়িতে।

এ সময় ওই দম্পত্তির মধ্যে কলহ হয়। এর জের ধরে নবমুসলিম যুবক স্ত্রীকে ফেলে কয়েক দিন গা ঢাকা দেন। এ সুযোগে স্থানীয় নবীর উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জালাল হোসেন হাওলাদার (৪৫) ওই দম্পত্তির কলহ মীমাংসার কথা বলে সোমবার রাত ১১টার দিকে ওই তত্ত্বাবদায়ক নেহারু বেগমের কাছ থেকে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু পরে ওই গৃহবধূকে নাছির মাস্টারের নির্মানাধীন একটি ভবনে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ধর্ষক জালাল হোসেন পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ধর্ষণের স্বীকার ওই গৃহবধূ জানান, তার স্বামী ওই বাড়িতে আছেন এমন কথা বিশ্বাস করে তিনি জালালের সাথে গেছেন। এ ব্যাপারে কাউখালী থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ মো. নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পিডিএসও/এসএম শামীম