কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ১০ আগস্ট, ২০২০

কক্সবাজার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সিফাত

কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। সোমবার দুপুর ২টায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পরপরই একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগার এলাকা ত্যাগ করেন।

কক্সবাজার জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, আদালত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে কারাবিধি মতে সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে দুপুর ২ টায় কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। সোমবার সকাল ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪ এর বিচারক তামান্না ফারাহ সিফাতের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সাথে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদলী করে তদন্তভার র‌্যাবকে দেয়ার আদেশ দেন আদালত।

একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজে সিনহাকে সহযোগিতা করার জন্য সিফাতসহ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির তিন শিক্ষার্থী কক্সবাজারে যান। সিনহা হত্যার প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী সিফাত। গত ৩১ জুলাই রাতে সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন তিনি। রোববার সিফাতের জামিন প্রার্থনা করা হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ( টেকনাফ-৩ ) এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক তামান্না ফারাহ শুনানি শেষে জামিনের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছিল।

এর আগে ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা তিনটি দায়ের করেেন। একটি রামু থানায় আর ২টি টেকনাফ থানায়। নীলিমা রিসোর্টে থেকে মাদক উদ্ধার দেখিয়ে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শিপ্রা রানী দেবনাথের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা ও মাদক আইনে মামলা করেন সিফাতের বিরুদ্ধে। সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। পুলিশের দায়ের করা মামলায় দুইজনই জামিন পেল।

নিহত সিনহার বোনের দায়েরকৃত হত্যা মামলায় টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পরিদর্শক লিয়াকত সহ ৭ জন পুলিশ বরখাস্ত এবং কক্সবাজার কারাগারে রয়েছেন।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কক্সবাজার,মুক্তি পেলেন সিফাত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close