এমএ মাসুদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

  ০৫ আগস্ট, ২০২০

সুন্দরগঞ্জে বন্যায় ১৩১ হেক্টর জমির ফসলহানি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ১শ ৩১দশমিক ৫০ হেক্টর ফসলি জমির পাট, রোপা আমন বীজতলা, সবজি ও তিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি উঠেছিল এমন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শাক-সবজির ক্ষেতগুলো। অথচ উপজেলার তারাপুরসহ বেশ কিছু এলাকা সবজি চাষের জন্য খ্যাত। এই জনপদের মানুষের সিংহভাগ সবজির চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে তারাপুরে উৎপাদনকৃত শাক-সবজির যোগান থেকে। কিন্তু এবারের বন্যায় পটল, ঝিঙা, শশা, করলা, বরবটি, চিচিংগা, ঢেঁড়স, মরিচের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে করে কমে যেতে পারে শাক-সবজির সরবরাহ, বেড়ে যেতে পারে দাম। যার প্রভাব ইতোমধ্যেই বাজারে পড়তে শুরু করেছে। কিছু আমন বীজতলা নষ্ট হওয়ায় শঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অনুযায়ী, খরিপ-২ (২০২০-২১) মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মোট ১শ ৩১ দশমিক ৫০ হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এবারে উপজেলায় ৪ হাজার ২শ ৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ৬৫ হেক্টর জমির পাট সম্পুর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রোপা আমন বীজতলার পরিমাণ ১ হাজার ৫শ ৪০ হেক্টর, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২৫ হেক্টর । সবজি চাষ হয়েছে ৬শ হেক্টর জমিতে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ হেক্টর। আর তিল চাষ হয়েছে ৫৫ হেক্টর জমিতে, ক্ষতিগ্রস্থ তিল চাষকৃত জমির পরিমাণ হলো ৪ হেক্টর। এতে করে উপজেলার মোট ২ হাজার ৩শ ৫ জন কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা একেএম ফরিদুল হক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যার মধ্যে ৩০ একর জমিতে কমিউনিটি বীজতলা তৈরি করেছি, যা দিয়ে প্রায় ৬শ একর জমিতে আমন চারা রোপণ করা যাবে। পাশাপাশি আরও বন্যার আশঙ্কা করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ১৬টি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে এবং কৃষকদের ভাসমান বীজতলা তৈরির প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এসব ভাসমান বীজতলা খালি হলে সবজি বীজ ছিটিয়ে দেয়া হবে। মিটবে সবজির চাহিদা।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সুন্দরগঞ্জ,বন্যায় ফসলহানী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close