তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৩ জুলাই, ২০২০

৩ মাস পর জানা গেলো আত্মগোপনে ছিলেন হায়দার

ঋণের দায়ে ৩মাস আগে আত্মগোপন করেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার বনবাড়িয়া পেচরপাড়া গ্রামের মৃত ফজলার রহামানের ছেলে হায়দার আলী (৪৫)। হায়দার অপহৃত হয়েছেন দাবি করে তার স্ত্রী রিনা খাতুন গত ৭/৪/২০২০ইং তারিখে সলঙ্গায় থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। উদ্ধারের পর জানা গেলো তিনি আসলে অপহৃত হননি, ঋণের দায়ে আত্মগোপনে ছিলেন।

সলঙ্গা থানার ইন্সপেক্টার (তদন্ত) হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে থানার উপ-পরিদশক শামিনুল ইসলাম শরিফুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহযোগীতায় সোমবার সকালে ৩মাস আত্মগোপনে থাকা ওই ব্যক্তিকে সলঙ্গা থানার নাইমুড়ি বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

সলঙ্গা থানার ইন্সপেক্টার (তদন্ত) হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘হায়দার আলী একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। বিভিন্ন এনজিও ও ব্যবসায়ীদের কাছে ঋণগ্রস্ত হয়। এনজিও ও ব্যবসায়ীরা টাকার জন্য চাপ দিলে নিজেই গত ২৫/২/২০২০ইং তারিখে নিজবাড়ি থেকে আত্মগোপন হয়ে যায়। পরে হায়দার আলীর স্ত্রী থানায় জিডি করেন।

গত ৭/৪/২০২০ইং তারিখে হায়দার আলীর চাচাতো ভাই কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নামে একটি অপহণ মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী রিনা খাতুন। মামলার পর থেকে প্রযুক্তির সহযোগীতায় পুলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালান করে। সোমবার সকালে ৩মাস পর সলঙ্গা থানার নাইমুড়ি বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

সলঙ্গা থানার ইন্সপেক্টার (তদন্ত) হুমায়ন কবির অপহৃত হায়দার আলীর বরাত দিয়ে জানান, হায়দার আলী একজন মৎস্য ব্যবসায়ী ছিল। ব্যবসা করতে করতে তিনি ঋণগস্ত হয়। পরে পাওনাদারদের চাপে নিজেই আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তিতে তার স্ত্রী রিনা খাতুন হায়দার আলীর চাচাতো ভাই ও বিমাতা ভাইদের হয়রানি করার জন্যই থানায় মামলা করেন। উদ্ধারকৃত হায়দার আলীকে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আত্মগোপন,হায়দার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close