বরগুনার তালতলীতে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের দাবিতে একযোগে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে প্রায় এক লাখ মানুষ মানববন্ধন করেছে। একই সাথে গণস্বাক্ষর উঠিয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় এক লাখ মানুষ বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরে অংশগ্রহণ করেন।

গত ২০০১ সালে জাতীয় সংদস নির্বাচনে আমতলী-তালতলী থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে প্রতিশ্রতি দেন তালতলী থানাকে উপজেলায় রুপান্তরিত করবেন। কিন্তু সে সময় সরকার গঠন করতে না পারায় পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসেই তালতলীকে উপজেলা ঘোষণা করেন। এরপর ২০১২ সালের প্রথম দিকে তালতলী পূর্ণাঙ্গ উপজেলায় হয়। সবকিছুতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) হয়নি। এতে এ উপজেলার প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত। তবে চিকিৎসা নিতে হলে ৩০ কিলোমিটার সড়ক পথে গিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলীতে যেতে হয়।

তালতলী উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালুর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরে ঘুরেও লাভ হয়নি। এতে ফুঁসে উঠেছে তালতলীর সর্বস্তরের মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চেয়ে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ১০টি স্থানে এক যোগে এক লাখ মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে মানবন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর গণস্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছে।

উপজেলার যে ১০ স্থানে মানববন্ধন হয়েছে—তালতলী সদর, পঁচাকোড়ালিয়া বাজার, ছোটবগী, কচুপাত্রা, লাউপাড়া, কড়ইবাড়িয়া, ফকিরহাট, বারঘর, শানুর বাজার ও নিদ্রা বাজার।

পিডিএসও/হেলাল