কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ১১ জুলাই, ২০২০

২ কিশোরকে বেঁধে নির্যাতনকারী প্রধান আসামি গ্রেফতার

ফাইল ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানে মুঠোফোন চুরির অভিযোগ তুলে মুন্না পাশি (১৪) ও জগৎ নুনিয়া (১৫) নামের দুই কিশোরকে ৮ ঘণ্টা একটি গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতিত কিশোর মুন্না পাশির ভাই রাজেশ পাশি বাদি হয়ে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য নির্যাতনকারী সাহাদত (৪০)-কে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আসামি করা হয়। শুক্রবার রাত ১০টায় কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পার্শ্ববর্তী চাম্পারায় চা বাগান থেকে প্রধান আসামি সাহাদতকে গ্রেফতার করে।

এই মামলার বাদি রাজেশ পাশি বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টায় এ চা বাগানের কম্পাউন্ডার তার ছোট ভাই মুন্না পাশি ও জগৎ পাশিকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান। পরে পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য সাহাদত তাদেরকে (ধৃত দুই কিশোরকে) গাছের সাথে বেঁধে বেধড়কভাবে পেটান। টানা ৮ ঘণ্টা বেঁধে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়। বিকাল ৩টায় অবিভাবকদের কাছ থেকে সাদা কাগজে মুচলেখা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মামলার বাদি রাজেশ পাশি আরও বলেন, চুরি করলে তা প্রমাণিত হলে আইনানুগভাবে তাদের বিচার করা হবে। কিন্তু এভাবে চা বাগানে প্রকাশ্যে টানা ৮ ঘণ্টা গাছের সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হলো? তবে, এ মামলায় প্রধান আসামিকে আটক করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে বাকী আসামিদের আটক করা হবে বলে আমার ধারণা।

তবে কুরমা চা বাগান সূত্রে জানা যায়, সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রদত্ত ৫ হাজার টাকার চেকের তালিকার অনিয়ম নিয়ে সম্প্রতি কুরমা চা বাগানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল সাধারণ চা শ্রমিকরা। আর এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলা করা হয়েছিল এই সাহাদতের নেতৃত্বে।

চা শ্রমিকরা আরও বলেন প্রধান আসামি সাহাদত গ্রেফতারের পর থেকে এ নির্যাতনে জড়িতরা আত্মগোপনে রয়েছেন।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান দুই কিশোর নির্যাতনের মামলা ও প্রধান আসামি গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার বেলা ৩টায় আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমলগঞ্জ,নির্যাতনকারী,গ্রেফতার,আসামি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close