নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ০৫ জুলাই, ২০২০

আ'লীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০, দোকান-বসতঘর ভাংচুর

আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আ'লীগের দু'গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৪টি দোকান ও দু'টি বসতঘরও ভাংচুর করা হয়। শনিবার বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ও উত্তর ইউপির আদ্রা গ্রাম ও ভোলাইন বাজার এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, দীপ্তি রাসেল, কাইউম, বাবু, বেলাল, রিপন, মেহেদী হাছান, মহসিন, রাহুল, পারভেজ ও রিয়াদ। এর মধ্যে দীপ্তি রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও রিপন, মহসীন, মেহেদী হাছান গুলিবিদ্ধ হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকীরা নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলে জানা যায়।

স্থানীয় সুত্র জানায়, গত ইউপি পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদ্রা উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও আদ্রা উত্তর ইউপির যুবলীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন রতনের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দুই ইউপির মাঝামাঝি ভোলাইন বাজারটি হওয়ায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাজারের দোকানগুলোতে হামলা হয়।

ওই ঘটনায় শনিবার বিকেলে ভোলাইন বাজারে চেয়ারম্যান গ্রুপের মন্নান ও বেলালের দোকান ভাংচুর করে। পরে আদ্রা গ্রামের আলী আকবর ও সালেহা বেগমের বসতঘর ভাংচুর করে রতন গ্রুপের লোকজন। ঘটনার পর চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ভোলাইন বাজারের অজি উল্লাহ মিয়াজী ও সিরাজের দোকান ভাংচুর করে।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, শনিবার বিকেলে নাছির উদ্দীন রতনের লোকজন দেশীয়অস্ত্র নিয়ে তার দোকানে হামলা চালিয় ভাংচুর করে। দোকানে থাকা নগদ ৭৩ হাজার টাকাসহ মালামল লুট করে নেয়। এতে করে তার ৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। ব্যবসায়ী সিরাজ বলেন, চেয়ারম্যান গ্রুপের লোক বাবুল মেম্বারের নেতৃত্বে তার দোকান ভাংচুর করা হয়। এ সময় দোকানে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আদ্রা উত্তর ইউপি যুবলীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন রতন বলেন, ঘটনার দিন তিনি শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। তার কাছে ফোন আসে ভোলাইন বাজারের পোলাপানের কথা কাটি হয়। থানা থেকে এসআই সোহেল মিয়া গিয়ে তা সমাধান করে দেয়। পরে রাত ১১ টার সময় বাবুল মেম্বারের নেতৃত্বে তার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, কিছুদিন পূর্বে একটি মামলা নিয়ে রতনের লোকজন চাঁদা দাবি করে। এতে পোলাপানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রতনের আত্মীয় স্বজনরা ও জুলিয়াসের নেতৃত্বে আকিলদের বাড়িঘর ভাংচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উভয় পক্ষের ঘটনায় এলাকায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এখন পর্যন্ত বাবুল মেম্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে রতনও মামলা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উভয়ের মামলার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আ'লীগ,সংঘর্ষ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close