নীলফামারী ও ডোমার প্রতিনিধি

  ০৩ জুলাই, ২০২০

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পার হওয়ার সময় নদীতে পড়ে ২ শিশু নিখোঁজ

নীলফামারীর ডোমারে নদীতে পড়ে দুই শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের আমবাড়ি হাটের অদুরে পাঙ্গা নদীর একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পারাপারের সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ শিশুরা হলো- গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৬) ও একই উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বিএসসিপাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর মেয়ে মনি আক্তার (৫)। ওই দুই শিশু খালাতো ভাই-বোন। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত রংপুর দমকল বাহিনীর ডুবুরীদল অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধার করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানায়, বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গ্রামের কমির উদ্দীনের মৃত্যু হলে তার জানাযায় পরিবারসহ অংশ নিতে আসেন তার ছেলের শ্বশুর জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামের ময়নুল ইসলাম। সেখানে তার দাফন শেষে স্ত্রী, তিন নাতি-নাতনীসহ রিকসাভ্যান যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ময়নুল। এসময় আমবাড়ি হাটের অদুরে পাঙ্গা নদী পারাপারের ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী ব্রীজের পাটাতনে ফাকে রিকসাভ্যানের চাকা ঢুকে উল্টে গেলে ময়নুলের স্ত্রী রওশন আরা (৫৫), তার তিন নাতি-নাতনি লিপু (১০), মনি ও মনোয়ার নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক রওশন আরা ও লিপুকে উদ্ধার করলেও অপর দুই শিশু মনি ও মনোয়ার নদীতে নিখোঁজ হয়।

গোমনাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, স্থানীয় লোকজন ও ডোমার দমকল বাহিনীর কর্মীদের সহায়তায় রংপুরের একটি ডুবুরী দল শিশু দুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে’।

ডোমার দমকল বাহিনীর দলনেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, ব্রীজের লোহার পাতের ফাকায় ভ্যানের চাকা ঢুকে ভ্যান উল্টে এক নারীসহ তিন শিশু নদীতে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা ওই নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করতে পারলেও দুই শিশু নিখোঁজ হয়। আমরা রংপুর থেকে দমকলবাহিনীর ডুবুরী দল এনে নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারে কাজ করছি।’

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফিজার রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। দমকল বাহিনীর ডুবুরীদল নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারে কাজ করছে।’

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু,দুই শিশু নিখোঁজ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close