গাইবান্ধা প্রতিনিধি

  ০৩ জুলাই, ২০২০

ব্রহ্মপুত্র-ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি থমকে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখ ঘাটে এক লেভেলে দাঁড়িয়ে থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৭ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে ঘাঘট নদীর পানি বিকাল ৩টা পর্যন্ত নতুন ব্রীজ পয়েন্টে ৬ সে.মি. কমলেও বিপৎসীমার ৩১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি বিকাল ৩টায় ১২ সে.মি. বেড়ে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে করতোয়ার পানি ২ সে.মি. কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, আসামে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ওই পানি ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়াবে। তাছাড়া বৃহস্পতি ও শুক্রবার আকাশ সারাদিন মেঘাছন্ন থাকে। বৃষ্টিপাত হলে নদীর পানি বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি ইতিপূর্বে এক সপ্তাহ ধরে যে হারে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সেতুলনায় গত তিনদিনে কমেছে ধীরগতিতে।

এবারে ব্রহ্মপুত্রের পানি সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ৮২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে নদনদীর পানি না কমায় বন্যা দুর্গত মানুষের দুর্দশা বেড়েছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে, রাস্তাঘাট ডুবে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী অপ্রতুল বলে জানান, সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী। তার ইউনিয়নে ১৪টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী। তিনি বলেন, বন্যার পানির পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে পাতিলাবাড়ি, নলছিয়া, গোবিন্দপুর, গাড়ামারা, দীঘলকান্দি, গুয়াবাড়িসহ কয়েকটি গ্রামে ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩২০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য এ পর্যন্ত ২০০ মে. টন চাল ও ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গত ৪টি উপজেলায় ৬১টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ব্রহ্মপুত্র-ঘাঘট নদী,বিপৎসীমা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close