মাগুরা প্রতিনিধি

  ০২ জুলাই, ২০২০

গড়াই নদীতে ভাঙন, বাড়ি-ঘর ফসলি জমি বিলীন

হঠাৎ করেই মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাদির পাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কমলাপুর-মাটিকাটা গ্রামে গড়াই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হওয়ায় নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। পদ্মার শাখা গড়াই নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে এই দুটি গ্রামের ১০ টি বাড়ি ও বেশ কিছু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, অন্যত্র চলে গেছে অর্ধশত পরিবার। হুমকির মূখে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ, পাকা রাস্তা, মাগুরা পল্লীবিদ্যুতের বৈদ্যুতিক পিলারসহ শতাধিক পরিবার।

এলাকাবাসী জানান, হঠাৎ করে গড়াই নদীতে স্রোত ও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নদী তীরের মাটি ধসে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে আতংক দেখা দেয়ায় নদী তীরবর্তী বসতিরা বাড়ি ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মাটিকাটা গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন, নারায়ন মন্ডল, মোতালেব হোসেন, অমলবালা, সুবর্ণ সরকার, মনিন্দ্রনাথ অঞ্জলি রানী সরকারসহ অনেকে জানান, নদী ভাঙনের ফলে তারা গৃহহারা হয়েছেন।

সম্মিলিত পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, ওই অঞ্চলে আমার বাড়ি। আমার বাড়ি থেকে ভাঙনকবলিত স্থানের দূরুত্ব ১৫ মিটার হবে। তাই এটি দ্রুত সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট অনুরোধ করছি।

কাদির পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলী বিশ্বাস জানালেন, তিনি নদী ভাঙনের বিষয়টি মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য, শ্রীপুর ইউএনও, মাগুরা জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বিভাগ মাগুরাকে অবহিত করেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

এ ব্যাপারে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন জানান, আমরা মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গড়াই নদীর ১০টি পয়েন্ট এবং মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীর ২০টি পয়েন্ট ভাঙন মেরামতের কাজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা আকারে পাঠিয়েছি । প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কমলাপুর-মাটিকাটা অঞ্চলে পরিদর্শন করার পর যদি ভাঙন বেশি হয় তাহলে উক্ত বরাদ্দ থেকে কিছু নিয়ে ওখানে ভাঙন রোধ কল্পে কাজ করা হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গড়াই নদী,মাগুরা,ভাঙন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close