তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
চলনবিলে নৌকা তৈরির ধুম
এ বছর চলনবিলে আগাম বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে। আর টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে খাল ভরে এখন মাঠঘাট প্লাবিত হচ্ছে।
চলনবিল এলাকার মানুষ বর্ষায় এপার থেকে ওপারের জন্য আগাম প্রস্তুত হিসেবে তৈরি করছেন যাতায়াতের উপযোগী নৌকা। যা আঞ্চলিক ভাষায় ভুড্ডি নৌকা বা ভোট নৌকা বলে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামের মেঠোপথগুলোও পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বিলপাড়ের মানুষের চলাচলের জন্য ডিঙি নৌকার কদর এখন সবচেয়ে বেশি। তাই বসে নেই ডিঙি নৌকা তৈরির কাজে নিয়োজিত ব্যবসায়ী ও মিস্ত্রিরা। এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। আর এই ডিঙি নৌকাকে ঘিরে চলনবিলের বিভিন্ন হাটে গড়ে উঠেছে ডিঙি নৌকা বিক্রির হাট। তাড়াশ, চাঁচকৈর হাট, মির্জাপুর হাট, বিনসাড়া হাট, নওগাঁ হাট ও ছাইকোলা হাট ও চাটমোহরসহ কয়েকটি হাটে নৌকা তৈরির ধুম পড়ে গিয়েছে।
নৌকার ক্রেতারা জানান, নৌকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি ডিঙি নৌকা ৪ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ হাটে দেখা যায়, হাটের পশ্চিম পাশে ও জিন্দানী কলেজ এলাকাজুড়ে বসেছে নৌকা বিক্রির হাট। পাশাপাশি প্রায় ২০-২৫টি কারখানায় চলছে নৌকা তৈরির কাজ। অন্যান্য উপজেলার মানুষও এসেছে নৌকা কিনতে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার করতকান্দি গ্রামের লিপন সরকার জানান, নিচু এলাকার সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে বা অন্য পাড়ায় যেতে এসব ডিঙি নৌকার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে জেলেদের মাছ ধরার জন্য বেশি দরকার হয় এই নৌকা।
তাড়াশ পৌর এলাকার ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী জানান, বর্ষাকালে তাদের হাতে তেমন কাজ থাকে না। তাই ডিঙি নৌকা কিনে মাছ ধরে বাড়তি আয় করতেই এসব নৌকা কেনা হয়।
পিডিএসও/হেলাল