পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ০৭ জুন, ২০২০

প্রতিদিনের সংবাদে খবর প্রকাশের পর

পলাশে সেই শিশুর দায়িত্ব নিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার সমবায় আদর্শ বিদ্যানিকেন স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্রী অশ্রু (৭)। খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডান পাশের পা থেকে কোমড়ের হাড় সরে যায়। হতদরিদ্র বাবার পক্ষে মেয়ের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। যেকারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বিনা চিকিৎসায় প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে ঘরে পড়ে আছে অশ্রু। এ অবস্থায় মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে সমাজের বিত্তবান-মানবিক মানুষের সাহায্য কামনা করেন অশ্রুর বাবা সঞ্জয় দাস।

সঞ্জয় পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার নতুন বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। এ নিয়ে গত ৬ জুন (শনিবার) প্রতিদিনের সংবাদের অনলাইনে ‘মানবিক সহযোগিতার আবেদন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিষয়টি নজরে আসে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদের। পরে তিনি শনিবার সন্ধ্যায় অশ্রুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তার বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সে করে অশ্রুকে তার বাবা-মায়ের সাথে পাঠানো হয়। এছাড়াও সমাজের বিত্তবানরা মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে শিশু অশ্রুর পরিবারের কাছে নগদ কিছু অর্থ তুলে দেন।

এ ব্যাপারে শাহেদ আহমেদ প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিশু অশ্রুর জন্য মানবিক আবেদন পোস্ট দেখতে পাই। পরে পলাশ উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে শিশুটিকে দেখতে যাই এবং মানবিকতার টানে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিই।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পলাশ,ছাত্রী অশ্রু,শাহেদ আহমেদ,চিকিৎসা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close