মেস ভাড়ার জন্য অবরুদ্ধ ১৩ ছাত্রী
বগুড়ায় ভাড়ার দাবিতে এক ছাত্রীনিবাসে ছাত্রীদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শহরের কামারগাড়ী এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন মুন্নুজান ছাত্রীনিবাসের ১৩ জন ছাত্রী ওই অভিযোগ তোলেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা বাড়ি ফিরে গেছেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে ছাত্রীনিবাসের সুপার হাফিজা বেগমের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসার পর ছাত্রীরা বাড়ি ফিরে যান।
ছাত্রীনিবাসের বাসিন্দা সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী রুমা খাতুন বলেন, সোমবার ওই হোস্টেলে আমিসহ ১৩ জন ছাত্রী আসি। আমার রুমে গিয়ে দেখি সমস্ত রুম তছনছ করে রাখা। পরে দেখি আমার জামা কাপড়সহ দামি জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। আমার মতো আরেকজনের রুমেও চুরি হয়েছে। যেখানে চুরি হয় সেখানে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়। তারপরও হোস্টেলের ইনচার্জ তিন মাসের ভাড়া পরিশোধ করে হোস্টেল ত্যাগ করার কথা বলে।
ছাত্রীনিবাসে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী দীপান্বিতা বলেন, আমি করোনার কারণে বাড়িতে চলে যাই। আজ হোস্টেলে বইপত্র নিতে আসলে তিন মাসের ভাড়া ছাড়া হোস্টেল থেকে বের হতে বাধা সৃষ্টি করে।
মুন্নুজান ছাত্রীনিবাসের সুপার হাফিজা বেগম জানান, এপ্রিল থেকে তিন মাসের ভাড়া চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা দিবে না। পরে মালিক আবদুল্লাহ হেল কাফীর সঙ্গে কথা বললে দুই মাসের ভাড়া নিয়ে ছাত্রীদের ছেড়ে দিতে বলেন। তবে রুমে চুরি হওয়ার এবং নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজী হননি।
বগুড়া শহরের স্টেডিয়াম ফাঁড়ির এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। যার টাকা কাছে আছে সে দিয়ে যাবে। আর যার নেই সে পরে এসে দিবে। তবে টাকার জন্য কোনো ছাত্রীকে আটকে রাখতে পারবে না।
এসআই আরও বলেন, তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। যদি তাতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে ওই ছাত্রীনিবাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে ছাত্রীরা নির্বিঘ্নে ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করেন।