নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ৩০ এপ্রিল, ২০২০

দাফন : করোনা সন্দেহে এগিয়ে আসেনি প্রতিবেশী

এগিয়ে এলেন চিকিৎসক ও জনপ্রতিনিধি

করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে এমন সন্দেহে এক ব্যক্তির লাশ দাফনে প্রতিবেশীরা যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখন দাফন কাজে এগিয়ে এসেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খান পাভেলসহ কয়েকজন মুসল্লি। নিহত ওই বৃদ্ধের (৬৫) গ্রামের বাড়ি উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নে মুসলিমহাটি গ্রামে।

বুধবার রাতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে পোস্ট দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মৃতদেহ দাফনের প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়।

নিহতের ছেলের বরাত দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পোস্টে বলা হয়, ওই বৃদ্ধ গত দেড়মাস ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। আর্থিক সমস্যার কারণে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেনি স্বজনরা। বুধবার ঢাকার গেন্ডারিয়ার বাসায় ওই ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। করোনায় তার মৃত্যু হয়েছে—প্রতিবেশীদের এমন সন্দেহের কারণে তাকে ঢাকার ওই এলাকায় দাফন করা সম্ভব হয়নি।

যার কারণে লাশ তার গ্রামের বাড়ি চুড়াইনে নিয়ে আসা হয়। এখানেও একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে লাশের গোসল, জানাজা, দাফনে জটিলতা দেখা দেয়।

কোনো উপায় না দেখে নিহতের স্বজনরা নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে মৃত ব্যক্তির লাশ হাসপাতালে এনে গোসল ও জানাজা পড়িয়ে তার নিজ গ্রামে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ পুরো প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নবাবগঞ্জ,করোনাভাইরাস,দাফন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close