হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

  ২৯ এপ্রিল, ২০২০

হাজীগঞ্জে করোনার সম্মুখ যোদ্ধা ইউএনও আক্রান্ত

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বুধবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে তার করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। একই দিনে হাজীগঞ্জে ৩৭ বছর বয়সী এক যুবকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় গত ৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অনির্দিষ্টকালের জন্য চাঁদপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। এরপর থেকেই লকডাউন কার্যক্রম ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে জনসমাগম ঠেকাতে হাজীগঞ্জে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও।

শুধু লকডাউন নয়, দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকেই চাঁদপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনিই সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমে বেশ সরব ছিলেন এবং সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে মাঠ পর্যায়ে সবচে বেশি কাজ করেছেন। তার নেতৃৃত্বে উপজেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সবশেষ আজও তিনি হাজীগঞ্জ বাজারস্থ পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবন লকডাউন করেন।

জানা গেছে, গত সোমবার ইউএনও’র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাজধানীর শিশু হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বুধবার দুপুরে ওই রিপোর্ট চাঁদপুরের সিভিল সার্জন অফিসে এসেছে।

এ ছাড়াও হাজীগঞ্জের ইউএনও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাহী কর্মকর্তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাই এখন তিনি সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন।

এ দিকে উপজেলায় করোনা আক্রান্ত অপর যুবক একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত মার্চ মাসে ঢাকা থেকে হাজীগঞ্জে আসেন। চলতি মাসের ১৭ এপ্রিল তার শশুরের মৃত্যুজনিত কারনে তিনি চট্টগ্রামে যান। সেখান থেকে জানাযা শেষে গত ১৮ এপ্রিল তিনি তার হাজীগঞ্জের বাসভবনে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে তার করোনা পজিটিভ আসে। আক্রান্ত যুবক হাজীগঞ্জ বাজারস্থ শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ভবনে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এখনো তিনি নিজ বাড়িতে আছেন। তারাসহ মোট ৫টি পরিবার ওই ভবনে থাকেন।

এ দিন দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া ভবনটির স্থলে উপস্থিত হয়ে পুরো ভবনটি লকডাউন করে দেন। এবং ভবনে বসবাসকারী লোকজনকে ভবন থেকে বাহিরে আসা-যাওয়া না করার নির্দেশনা দেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার চিকিৎসক তার বাড়িতে গিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিবেন, ওই যুবক হাসপাতালে নাকি বাসায় চিকিৎসা নিবেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হাজীগঞ্জ,ইউএনও,আক্রান্ত,করোনাভাইরাস
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close