সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

  ০৬ এপ্রিল, ২০২০

করোনা সংকট

সুন্দরগঞ্জে প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই চলছে রাস্তার কাজ

করোনা ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হওয়া সত্বেও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই তড়িঘড়ি করে চলছে রাস্তা পাকাকরণের কাজ। জনমনে দেখা দিয়েছে করোনা শঙ্কা, মান নিয়ে তুলছেন প্রশ্ন।

জানা গেছে, উপজেলার ফলগাছা- কান্দি সংযোগ রাস্তার ফলগাছা বাজার থেকে ১ কি.মি. রাস্তা পাকাকরণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। এতে কাজ পায় মেসার্স তানিতী এন্টারপ্রাইজ। যা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১,৮০,৮৯,৯৫১ টাকা। পরবর্তীতে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কার্যাদেশ তথ্যানুসারে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারির মধ্যে রাস্তার নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি তা শেষ করতে পারেনি। কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর গত মাসের (মার্চ) মাঝামাঝি সময়ে আবার কাজ শুরু করে আজ সোমবার পর্যস্ত তা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে গত ২৬ মার্চ থেকে চলতি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সহকারী প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী সরকারি ছুটি থাকায় রাস্তার নির্মাণ কাজ তদারকিও করতে পারছেন না।

স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ ছাড়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে শ্রমিকদের কাজ করা এবং কাজের স্থলে এমনিতে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করোনা ঝুঁকিতে পড়তে পারেন বলে এলাকার সচেতন মানুষ মনে করছেন।

তারা বলছেন, টিভিতে দেখেছি আমাদের গাইবান্ধা জেলা করোনা ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি তদারকি না হওয়ায় নির্মাণকাজের মান নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার সাকিব নিজের পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে বলেন, ‘কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কাজ করতে হচ্ছে। আমি সাবধানতার সাথে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাব।'

রাস্তা নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘রাস্তার কাজ চলছে তা তো আমি জানি না। আর ছুটির মধ্যে কাজ চলারও কথা না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনসুরের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সুন্দরগঞ্জ,রাস্তার কাজ,প্রকৌশলী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close