নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
ইউপি সদস্যদের কাণ্ড
নবাবগঞ্জে টাকা ছাড়া মিলছে না কার্ড
নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেকান্দার মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকার চালের কার্ড দেওয়ার নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
কার্ড দেওয়ার নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫শ টাকা এবং প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য কার্ডের জন্য দেড় থেকে ২ হাজার টাকা নিচ্ছেন তিনি—এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। টাকা দিতে না পারায় কার্ড দেয়নি এমনও অভিযোগ করেছেন কয়েকটি পরিবার।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ওই জনপ্রতিনিধির কাছে তাগাদা দিয়েও ভাগ্যে জুটেনি একটি কার্ড—এমন কয়েকজনও জানালো তাদের দুঃখের কথা। ফলে অসহায় জীবনযাপন করছেন এসব পরিবার। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সাহায্যের তালিকার তৈরির ক্ষেত্রে এলাকা বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি অভিযোগ ইউপি সদস্য সেকান্দার মিয়ার বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী আরও জানান, সেকান্দার মিয়ার পাশাপাশি তার ছেলে জাকির ও একই এলাকার বাবর আলী ওরফে বাবু সরকারি সহায়তার তালিকা তৈরি করেন। চালের কার্ড তৈরিতে খরচের কথা বলে অসহায় মানুষের কাছ থেকে ৫শ টাকা করে নেন তারা। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও বিধবাসহ অন্যান্য কার্ডের খরচ বাবদ দেড় থেকে ২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। যারা টাকা দিতে পেরেছে, শুধু তাদের কপালেই জুটেছে সহায়তার কার্ড। টাকা না দিলে কারও কপালে জুটে না কার্ড বা সহায়তা।
ইউপি সদস্যের এমন কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী। এতে সরকারের এমন ভাল একটি উদ্যোগ বিফলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
অভিযোগ স্বীকার করলেও এমন দুর্নীতির সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেন ইউপি সদস্য সেকান্দার মিয়া। তিনি জানান, ছেলে জাকির ও বাবু তার নাম ব্যবহার করে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। জানার পর তিনি কয়েকজনের টাকা ফেরত দিয়েছেন। জাকির ও বাবুকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নয়নশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান রিপন মোল্লা বলেন, আমি ঘটনা শুনার পর কয়েকজনের টাকা ফেরত দিয়েছি। যারা সাহায্য পায় তারা গরিব। এরপরও যদি কেউ এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকে, তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
পিডিএসও/হেলাল