কক্সবাজার সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ তিন পর্যটক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টের ঝাউবিথীতে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

আহত পর্যটকরা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈম শেখ, ঢাকার মিরপুরের পল্লবী এলাকার গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন রাজ্জাক ও মোশাররফ হোসেন জনি। তাদের মধ্যে নাঈম শেখের অবস্থা গুরুতর।

সালাউদ্দিন রাজ্জাক বলেন, রোববার রাতে রেস্তোরাঁ থেকে খাবার খেয়ে তারা তিনজন সমুদ্র উপভোগের জন্য বের হয়ে ঝাউবিথীতে হাঁটতে শুরু করে। হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৭-৮ জনের একটি ছিনতাইকারী দল এসে তাদের ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে ছুরির ভয় দেখিয়ে নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর ধস্তাধস্তি ও চিৎকার শুরু করলে ছিনতাইকারীর দল তাদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ সরওয়ার হোসেন বলেন, চিৎকার শুনে আমি এবং বিচ কর্মী খোরশেদ আলম এগিয়ে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজন পর্যটক পড়ে আছে। পরে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর এ ঘটনা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়। ঘটনার পরপর জেলা সদর হাসপাতালে আসেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন অফিসার) মাসুম খান।

এ সময় মাসুম খান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের আতঙ্ক প্রভাব ফেলেছে পর্যটন শিল্পে। এর প্রভাবে এই ভরা মৌসুমে পর্যটকের খরা চলছে কক্সবাজারে। তার ওপর পর্যটকের মৃত্যু, ছিনতাই এবং হামলা— পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

পিডিএসও/তাজ