শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার

  ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে

১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়ার বালুখালী-মধুরছড়া খাল খননে অগ্রগতি

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়ায় খাল খনন চলছে

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী-মধুরছড়া খাল খনন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বর্ষার মৌসুমী জলাবদ্ধতা নিরসন ও চাষাবাদের লক্ষ্যে খালটি পুনরায় খনন কাজ চলছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উখিয়া এই খাল পুনঃ খনন কাজ বাস্তবায়ন করছে।

উখিয়া উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহরাব আলী জানান, ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খনন প্রকল্পটি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে করেছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, কুতুপালং, বালুখালি, মধুছড়া, থাইংখালী ও পালংখালী এলাকার হাজার হাজার একর সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস এবং পাহাড় কেটে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় গ্রহণ করেছে। পাহাড় নিধন ও বনজ সম্পদ ধ্বংস করার কারণে পাহাড়ের মাটি পানির সাথে এসে খাল সমূহ ভরাট হয়ে গেছে। এতে করে বর্ষা মৌসুমে এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের টয়লেটগুলোর নোংরা পানি ও নোংরা ময়লা আবর্জনায় পুরো এলাকা মারাত্মক দূষিত হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জলাবদ্ধতা নিরসন ও অবাধ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বালুখালি কাস্টম ঘাট এলাকার নাফ নদী হয়ে মধুছাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার খাল খনন করতে এগিয়ে আসেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গত মাসে শুরু হওয়া খাল খনন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খনন শেষে নদীর সাথে সহজে পানি প্রবাহ সচল হলে এলাকায় যেনতেনভাবে আর অনাবাদি পড়ে থাকবে না চাষাবাদের জমি। এতে করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।

উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. রবিউল হোসেন জানান, সরকারি সিডিউল মোতাবেক খালের পূণঃখনন কাজ চলছে। বর্তমানে ৬০ ভাগ খাল খনন সম্পন্ন হয়েছে অবশিষ্ট কাজ আগামী মার্চ মাসে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উখিয়া,বালুখালি,খাল খনন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close